ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চবি এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন,১৪৪ ধারা জারি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের হবার পর ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকায় যৌথবাহিনী সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
  • আপলোড তারিখঃ 31-08-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 19899 জন
চবি এলাকায়  যৌথবাহিনী মোতায়েন,১৪৪ ধারা জারি ছবির ক্যাপশন: যৌথবাহিনি মোতায়েন
ad728



আমিনুল হক,নিজস্ব প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের হবার পর ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকায় যৌথবাহিনী সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। 

আজ রোববার(৩১আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে এবং তাদের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়।


 দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসী সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।সংঘর্ষের ঘটনার পরে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। 



সংঘর্ষের চার ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসলে দেরিতে আসায় তাদের ভুয়া ভুয়া বলে দুয়োধ্বনি দেন শিক্ষার্থীরা।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেল ৪টার দিকে ২ নম্বর গেটের সড়ক দিয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের ২০টি গাড়ি জোবরা গ্রামের দিকে যায়। তাদের পিছনে পিছনে শিক্ষার্থীরাও যান আর দেরিতে ঘটনাস্থলে আসায় ভুয়া ভুয়া বলে দুয়োধ্বনি দেন। সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।


চবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসিফ বলেন, সকালের দিকে সেনাবাহিনী এসে ফিরে গেছে। এরপর আর আসেনি। বিকেল চারটার দিকে এসেছে। সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে থাকলে এতবড় ঘটনা ঘটতো না।


আজকের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে না আসায় তাদের শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানোর পরও কোনো সাড়া মেলেনি।


তিনি আরও বলেছেন, আমাদের উপ-উপাচার্য, প্রক্টরের ওপর হামলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে। শতশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানিয়েছি; কিন্তু সহায়তা পাইনি।


চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সান্তু বলেছেন, শনিবার রাত থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। উভয়পক্ষে হাজার হাজার মানুষের বিপরীতে পুলিশের সংখ্যা ছিল কম। তাই হয়তো অনেকে পুলিশ দেখেননি।


এর আগে গতকাল(৩০আগস্ট) রাত সোয়া ১২টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী।এই সংঘর্ষ চলে গভীর রাত পর্যন্ত। 

পরে আজ রোববার (৩১আগস্ট)দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আবার সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। 

সেদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ ঘটনায় তাদের পক্ষের আহত হয়েছেন অন্তত ১০ থেকে ১২ জন।



সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে চবি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে হাটহাজারি উপজেলা প্রশাসন। জারি করা আদেশে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদরক্ষা ও শান্তিশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট বাজারের পূর্ব সীমা থেকে পূর্বদিকের রেলগেট পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশেই আজ দুপুর ২টা থেকে আগামীকাল ১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করা হলো।


১৪৪ ধারার বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সময়ে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সকল প্রকার দেশি অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ পাঁচজন বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

পানছড়িতে সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফ (মূল) এর মধ্যে গুলিবিনিময়, অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার।