শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নীলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাখাওয়াত সিকদার এবং তার ভাইদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিএনপি নেতা শাখাওয়াত সিকদার ও তার ভাতিজা সাবেক ছাত্রদল নেতা রনি সিকদার জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট নিয়ে ইউসুফ সিকদারের ছেলে তামিম সিকদার ও তানভীর সিকদারের সঙ্গে স্থানীয় রবিন মোল্যা, রানা মোল্যা, জাকির মোল্যা ও রাজা মোল্যা সহ কয়েকজনের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই রাতেই শরীয়তপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি শাখাওয়াত সিকদার, ইউনুস সিকদার, ইউসুফ সিকদার, মনির সিকদার ও রুহুল সিকদারের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করে তারা। এসময় প্রায় ৫ লাখ নগদ টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় তারা। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এব্যাপারে শরীয়তপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি শাখাওয়াত সিকদার বলেন, তামিম সিকদার ও তানভীর সিকদারের সঙ্গে স্থানীয় রবিন মোল্যা, রানা মোল্যা, জাকির মোল্যা ও রাজা মোল্যা সহ কয়েকজনের সঙ্গে বাতবিতান্ড হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে
প্রায় ৫ লাখ নগদ টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। আমরা এর বিচার ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে রানা মোল্যা বলেন, ঘটনার সময় আমি শরীয়তপুর শিল্পকলা একাডেমীতে দলীয় একটি ইফতার মাহফিলে ছিলাম। তবে গিয়ে শুনেছি, গত ৫ আগস্টের আগে বিএনপির সভাপতি শাখাওয়াত সিকদারের ভাতিজারা আমার চাচা শরীয়তপুর পৌরসভা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি খায়ের মোল্যার ছেলে রবিন মোল্যার ওপর হামলা করেছিল। শুক্রবার রাতে বাকবিতন্ড হয়েছে। তবে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।