আমিনুল হক,নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ব্যস্ততম কাটাফাঁড়ি ব্রিজ টু উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে দুই ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ।
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক কাটাফাঁড়ি ব্রিজ টু উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়ক। মগনানা এবং উজানটিয়া এই দুই ইউনিয়নের জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ এই গ্রামীণ সড়কটি। প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। গত মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত বোঝাইকরা এক ট্রাকের ভারে ধসে গেছে সড়কটি। মগনামা ধারিয়াখালী রুপাইখালের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে সড়কটি দেবে গিয়ে পানির তোড়ে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে সকল ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
সড়কটি যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মগনামা এবং উজানটিয়া ইউনিয়নের ৩০ হাজার জনগণ। স্থানীয়রা তাদের আশঙ্কা থেকে জানিয়েছেন, ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে লোকালয় তলিয়ে যেতে পারে।এতে করে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বিপুল পরিমাণ লকামাঠ। চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে সেখানকার শত শত লবণচাষি।
মগনামা কাটাফাঁড়ি টু উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়কের মগনামার ধারিয়াখালী, রুপাই খাল, সোনালি বাজার স্লুইস গেটসহ চারটি অংশই ধসে পড়েছে। আর এই ধসে যাওয়া অংশের মধ্যে ধারিয়াখালী রুপাই খাল ও সোনালি বাজার স্লুইস গেট অংশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ দুইটি অংশে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা লেগেই আছে। তবুও চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে যানবাহনগুলো।
সেখানের স্থানীয় নুরুল আবছার, আবু তৈয়ব বলেন, সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর রুপাই খালের অংশে সড়কটি দেবে যায়। বেশ কয়েক বার মাটি, কংকর দিয়ে ভাঙা অংশ সংস্কার করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ভেঙে গিয়ে সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যার ফলে নিদারুণ কষ্টে পড়ে দুই ইউনিয়নের মানুষ। দুপুরে ট্রাকের ভারে সড়কটি ফের দেবে গিয়ে সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।,
মগনামা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম জানান, সড়কটি দেবে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচল থমকে গেছে। বিশেষ করে উজানটিয়ার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ছিল এ সড়কটি।
পেকুয়ার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কালভার্ট স্থাপনের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আপাতত পানি আটকানোর কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য মগনামা ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন চৌধুরী জানান, ‘ভাঙন অংশ দ্রুত সংস্কার করার জন্য এলজিইডি প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি, খুবই দ্রুত মাটি ভরাটের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হবে।’