রাজশাহী প্রতিনিধি :
রাজশাহীতে ডিবির বরখাস্ত এসআই মাহবুব হাসানকে গণপিটুনি দিয়ে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে নগরীর হজোর মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসআই হাসানের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে হয়রানিসহ ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের বহু অভিযোগ রয়েছে।
হাসানকে আটকে গণপিটুনির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার ও মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি খাইরুল ইসলাম।
এসময় জসিম উদ্দিন সরকার জানান, এই সেই হাসান, যিনি মানুষকে কখনও গাঁজা, কখনও হেরোইন, কখনও ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠাতেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সোহাগকে দেখিয়ে তিনি বলেন, সোহাগকে মারতে মারতে উলঙ্গ করে এবং জামায়াতের রাতুলকে মেরে আহত করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন এই হাসান। বিএনপি ও জামায়াতের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা নির্যাতনের সাথে জড়িত হাসানকে এতোদিন গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জসিম। তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের মাধ্যমে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
জানা গেছে, এসআই হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সময় ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন। ২০১৩ সালে এসআই নিয়োগের পর তিনি রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় যোগ দেন। পরে ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি মহানগর ডিবি পুলিশে যোগদান করেন। চাকরিজীবনের শুরু থেকেই অত্যন্ত বেপরোয়া ছিলেন তিনি। রাজশাহীতে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর নির্যাতন করে জখম ও পঙ্গু করার অভিযোগ রয়েছে এসআই হাসানের বিরুদ্ধে। শুধু রাজনৈতিক নেতাকর্মীই নয়, সাধারণ মানুষকেও চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যের ফাঁদে ফেলেছিলেন তিনি। এসব অপকর্মের মাধ্যমে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেন।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, এসআই হাসানের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা রয়েছে