মোঃ নজরুল ইসলাম :
কিশোগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে ধলেশ্বরী ও মেঘনার সংযোগস্থল গজিয়া খালে তীব্র ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। হুমকীর মুখে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্মিত সরকারি ভবন, বাঙ্গালপাড়া বাজার এবং খাল তীরবর্তী বসতভীটা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের গজিয়া খালের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে বাজার হতে উছমানপুর পর্যন্ত তীব্র ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। বড় বড় ফাটল দিয়ে মুহেুর্তের মধ্যে ভেংগে ভেংগে পড়ছে তীরের মাটি এবং প্রবল স্রোতের টানে তা নিমিষেই ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । স্থানীয়রা জানান-বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে ফলে লাউড়া মাইজখোলা এলাকায় নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে এ খালে পানি প্রবাহের চাপ বেড়েছে। প্রবল স্রোতের টানে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। গত দুই-তিন দিনে প্রায় ১০০ হাত বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাঙ্গালপাড়া বাজারের পূর্বাংশ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, শত শত ঘরবাড়ী বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। পূর্বদিকে বাজারের একমাত্র পণ্য উঠা-নামার ঘাট সংলগ্ন সিঁড়ির তলার মাটি ইতিমধ্যে সরে গেছে। যেকোন মুহুর্তে সিঁড়ি ধ্বসে যেতে পারে। এতে চরম দূর্ভোগের শিকার হবে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও যাত্রী সাধারণ। অতিদ্রæত ভাঙ্গনরোধে কার্যকর পদেক্ষেপ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোড়দাবী জানান তারা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রুস্তম জানান, দু’বছর আগে বিআইডবিøওটিএ কর্তৃক নদীটি খনন করা হয়েছে। কিন্তু এ ড্রেজিং নিয়মতান্ত্রিক ভাবে হয়নি। অপরিকল্পিত ড্রেজিং-এর জন্য এই ভাংগনের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। অতি দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, বাজার ও বসতভীটা বিলীন হয়ে যাবে। ফলে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখিন হবে এলাকাবাসী।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিআইডবিøওটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানান, নদীটি ২০২৩ সালে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই খনন করা হয়েছে। তবে পচন্ড ¯্রােত ও নদীর গতিপথের কারণেই প্রাকৃতিক ভাবে এখানে ভাংগনের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুব আলম মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান- বিষয়টি আমরা অবহিত হয়েছি। বিভাগীয় প্রকৌশলীর সাথেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আগামীকাল সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।