আমিনুল হক, নিজস্ব প্রতিনিধি :
শুষ্ক মৌসুম শুরু হতে না হতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে।পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার ফলে হস্তচালিত নলকূপ-টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি উঠছে না। আর এতে উপজেলার এক লাখের বেশি পরিবারে নিরাপদ খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে খরা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হলে উপজেলার বেশির ভাগ এলাকার নলকূপ অকেজো হয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় চিন্তিত উপজেলার প্রায় ১৫টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
দাঁতমারা, নারায়ণহাট, বখতপুর, ধর্মপুর, ভূজপুর, কাঞ্চন নগরসহ অনেক ইউনিয়নের গ্রামে টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তাছাড়া ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাতেও টিউবওয়েলে পাওয়া যাচ্ছে না পানি।
দাঁতমারা বাজারের ব্যবসায়ী নুরুল হুদা জানান, এখানকার ৫০ ভাগ হস্তচালিত নলকূপে পানি উঠছে না। বাকি নলকূপগুলোতে অল্প অল্প পানি উঠছে।তাই নিত্য ব্যবহারের জন্য পানি মিলছে না।
নারায়নহাট চান্দপুর এলাকার বাসিন্দা বোরহান বলেন, আমাদের গ্রামে ধান চাষ করার জন্য দুটি সাবমার্সিবল পাম্প আছে। মূলত ওই পাম্পগুলোর কারণে গ্রামের সব নলকূপ ও টিউবওয়েল বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, পানি উঠছে না এমন নলকূপের সঠিক সংখ্যা তাদের জানা নেই।
তারা বলেন তাদের বরাদ্দকৃত নলকূপের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। তাছাড়া পুরো উপজেলায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হয়েছে প্রায় দশ হাজার গভীর নলকূপ।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) রাশেদুজ্জামান জানান, শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রায় ৫০ ফুটের বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত নলকূপে ঠিকমতো পানি উঠছে না। এ সময়টায় খাওয়ার পানির সংকট দেখা দেয়।
নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রে ৬০-৮০ ফুট পর্যন্ত গভীরতা নিশ্চিত করলে, শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নামলেও পানি পাওয়া যাবে।