আমিনুল হক, নিজস্ব প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশ অটো ইন্ড্রাস্ট্রিজের কারখানায় চাঁদাবাজী ও হামলার অভিযোগে শওকত আকবর সোহাগ (৪৫) নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৯ মে)আনুমানিক রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোহাগ মিরসরাই উপজেলার কাটাছরা ইউনিয়নের বাড়িয়াখালী এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ মে) বাংলাদেশ অটো ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর পরিচালক কামরুল হোসাইন বাদি হয়ে শওকত আকবর সোহাগকে প্রধান আসামী করে জোরারগঞ্জ থানায় ১২ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে জাতীয় বিশেষ অর্থনীতি অঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড কারখানায় ঢুকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুব দলের যুগ্ম সম্পাদক মো. শওকত আকবর সোহাগ এর নেতৃত্বে ৮-১০টি মোটর সাইকেলে ৮-১০ জন সন্ত্রাসীসহ ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার হাসিবুল হাসান চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে ও প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুস সামাদ সহ কারখানায় কর্মরত স্টাফদের মারধর ও গুরুতর জখম করে। এসময় হাসিবুল হাসান এর পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

দায়েরকৃত মামলায় আসামীরা হলেন, উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বাড়িয়াখালী গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে মোঃ শওকত আকবর সোহাগ (৪৫), তার ভাই শাহাজাহান আকবর (৪২), মৃত ফয়েজ আহমেদ মিস্ত্রির ছেলে আলা উদ্দিন (৫০), আবু বক্কর চান্দুর ছেলে সালা উদ্দিন (৩৮), আবুল খায়েরের ছেলে মোশাররফ হোসেন (৪৮), তাজুল ইসলামের ছেলে দিদারুল আলম (৪০), মিঠানালা ইউনিয়নের মলিয়াইশ গ্রামের মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে আরিফ হোসেন (৩০), রহমতাবাদ গ্রামের অলি বলির ছেলে  ইউনুস (৪০), মঘাদিয়া ইউনিয়নের বদিউল্লাহপাড়া গ্রামের মুজিবুল হকের ছেলে আনোয়ার (৩২), খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৫), হারুন অর রশিদ (৩৪), কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার নোয়াবগঞ্জ গ্রামের আলী আহমদের ছেলে সোহেল আহম্মেদ (৩৪) সহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশ অটো ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর কারখানায় হামলা ও চাঁদাবাজীর অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কামরুল হোসাইন বাদি হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা (নং-৯) দায়ের করেছেন।

মামলার প্রধান আসামী শওকত আকবর সোহাগকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।