তিনি বলেছেন, ইতিমধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ২০০ থানা কমিটি করেছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৪ শতাধিক থানা কমিটি হয়ে যাবে। জাতীয় নাগরিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারা দেশে কাজ করছে। আমরা আশা করছি- ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সেই রাজনৈতিক দলের আমরা দেখা পাব।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুরের কারমাইকেল কলেজে কাউনিয়া ও পীরগাছায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আখতার হোসেন জানান, তারা এখনো রাজনীতিক দলের নাম ঠিক করেননি। কিন্তু বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১০০–এর বেশি নাম প্রস্তাব এসেছে। সে নামগুলো থেকে চূড়ান্ত নামকরণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুরের সংগঠক আলমগীর নয়ন, এম আলমগীর কবির, ইঞ্জিনিয়ার শেখ রেজওয়ান, এম আই সুমন, খন্দকার ময়নুল হক মীম, রিফাত হাসান প্রমুখ।
এর আগে তিনি কাউনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক হাজার দুঃস্থ নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। পরে গণসংযোগ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক এই সমাজকল্যাণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষ জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আন্দোলনে এসেছে। এর মাধ্যমে তাঁরা বাংলাদেশকে নতুন রূপে গড়তে চেয়েছে। মানুষ একটা নতুন সংবিধান প্রত্যাশা করে। সেই জায়গা থেকে সংবিধান তৈরির ম্যান্ডেন্ট গণপরিষদের থাকে। একটি গণপরিষদ নির্বাচন যাতে হয়, সেই কারণেই তাঁরা প্রচার–প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, বাংলোদেশের সামনে যে নির্বাচন আসতেছে, সেটা একটা গণপরিষদ নির্বাচন হবে।’
আখতার হোসেন বলেন, “আমরা স্পস্ট করে বলছি- খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা বাংলাদেশে যে নারকীয় গণতহত্যা করে গেছে তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন ভাবেই আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে আমরা ফিরতে দেবো না। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে যারা নির্বাচনে আনার পাঁয়তারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সব শক্তি নিয়োগ করবে।”
আখতার হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে যদি পতিত ফ্যাসিবাদীদের কোন আস্তানা, কোন আস্ফালন সেটা ফেসবুকে বা অন্যত্র দেখি, তাহলে আমরা আইনশৃঙখলা বাহিনীকে বলব, তাদের বিরুদ্ধে যেন স্পস্টত কার্যকর, কঠিনতম ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
আখতার হোসেন বলেন, “বিএনপির অংশগ্রহণ ছিল না ১৪, ১৮ বা ২৪ এর নির্বাচনগুলোতে। তাতে করে সেই সব নির্বাচন একতরফা নির্বাচন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। অনেকেই ভাবছেন আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে না থাকে তাহলে সেটাকেও একতরফা নির্বাচন বলে সাব্যস্ত করা হতে পারে। এমন ভাবনা ঠিক নয়।”
কেমন হবে নতুন সেই রাজনৈতিক দল সে বিষয়ে আখতার বলেন, বাংলাদেশে একটি মধ্যমপন্থী রাজনৈতিক চর্চা থেকে এই দলের আবির্ভাব হবে। বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা ইসলাম বিদ্বেষ যেমন আমরা টলারেট করব না। একইভাবে হিন্দু, উগ্রবাদ কিংবা মুসলিম উগ্রবাদের যে জায়গাগুলো আছে সেগুলোও আমরা বরদাশত করব না। বাংলাদেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবসা করতে চায়, সম্প্রীতিতে বসবাস করতে চায়। সম্প্রীতির মধ্যমপন্থী এক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। সেই জায়গা থেকেই আমাদের এই রাজনৈতিক দল।