মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি, কমপ্লেইন্ট এন্ড ডিজিলেন্স কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি, ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকাস্থ্য নবীনগর কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মতিন রবিবার (৩১ আগস্ট) সকালে নবীনগর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, আমি নবীনগরের সন্তান, আমার বাড়ি রতনপুর ইউনিয়ন শাহ্পুর গ্রামে। আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমান যখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের প্রথম আহ্বায়ক কমিটি করেছিলেন আমি সেই কমিটির সদস্য ছিলাম। সেই থেকে আমার রাজনীতির জীবন শুরু এবং জাতীয়তাবাদীর আদর্শে আইনজীবী পেশায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে নেতৃত্ব দিয়েছি এবং এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে। আমি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে রাজনীতি করি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের নীতি মেনে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে কিছু লক্ষ্য থাকে। আমি আমার জীবনে নবীনগরকে নিয়ে কাজ করার একটি স্বপ্ন রয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও নবীনগরে কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। যদি দল মনোনয়ন দেয় এবং নবীনগরবাসী আমাকে নির্বাচিত করে আমি নবীনগরকে একটি স্যাটেলাইট উপ-শহর হিসেবে গড়ে তুলব। আমি গুরুত্ব দিব শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষিসহ সকল সেক্টরে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনজীবী হিসেবে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সুশাসন ও অধিকার আদায়ের গুরুত্ব। আমি চাই এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে।
তিনি আরো বলেন, আমাকে যদি দল মনোনয়ন নাও দেয়, দল যাকেই মনোনয়ন দেয় আমি দলের হয়ে তার জন্য কাজ করবো। তিনি বলেন, আমি এমপি হই আর না হই নবীনগরবাসীর সাথে থাকবো এবং সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে নবীনগরের উন্নয়নে কাজ করব। এ সময় তিনি নবীনগর প্রেসক্লাবের দাতা সদস্য হওয়ার ঘোষণা দেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি।
উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবু কামাল খন্দকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. আরজু, নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, সাবেক সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল। প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।