ঢাকা | বঙ্গাব্দ

টেকসই জ্বালানি ভবিষ্যতের জন্য জরুরী পদক্ষেপ দরকার।

বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা টেকসই রাখতে এখনই প্রয়োজন স্বচ্ছ মূল্যহার, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কাঠামো এবং দক্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন। অন্যথায় আমদানি নির্ভরতা, জ্বালানি ঘাটতি ও মূল্য অস্থিরতা দেশের অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রাস্ত করতে পারে।
  • আপলোড তারিখঃ 11-09-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 10545 জন
টেকসই জ্বালানি ভবিষ্যতের জন্য জরুরী পদক্ষেপ দরকার। ছবির ক্যাপশন: ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর ও জ্বালানি রূপান্তর নীতি-২০২৪”শীর্ষক আলোচনা সভা
ad728


রাজশাহী প্রতিনিধি :

বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা টেকসই রাখতে এখনই প্রয়োজন স্বচ্ছ মূল্যহার, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কাঠামো এবং দক্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন। অন্যথায় আমদানি নির্ভরতা, জ্বালানি ঘাটতি ও মূল্য অস্থিরতা দেশের অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রাস্ত করতে পারে।


গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় মহানগরীর আলকার মোড়ে মাইডাস রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স রুমে ক্যাব রাজশাহী আয়োজিত“ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর ও জ্বালানি রূপান্তর নীতি-২০২৪”শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বক্তারা।


আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৭) অর্জনের জন্য সবার জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিশ্চিত করা জরুরি। 

বর্তমানে দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিকল্প জ্বালানি উৎসে বিনিয়োগ, সঠিক মূল্যনীতি প্রণয়ন এবং দুর্নীতি দমন ছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা টেকসই করা সম্ভব নয়।


তারা আরও বলেন, একজন মানুষ বছরে রান্নার জন্য অন্তত ৩৫ কেজি এলপিজি এবং ১২০ ইউনিট বিদ্যুতের সুবিধা না পেলে তাকে জ্বালানি দরিদ্র হিসেবে গণ্য করা হয়। জ্বালানি দারিদ্র্য দূর না হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমানের অগ্রগতি সম্ভব নয়।


অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ক্যাব যুব সংসদ রাজশাহীর সভাপতি জুলফিকার আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুল আলম বলেন, “জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। নীতি সহায়তা, ন্যায্য মূল্যহার ও বেসরকারি বিনিয়োগ একসাথে কাজ করলে বাংলাদেশও উন্নত দেশের মতো টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জন করতে পারবে।”


বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ক্যাব বাংলাদেশের উপদেষ্টা (অভিযোগ) ইঞ্জিনিয়ার খাদেমুল ইসলাম, ক্যাব রাজশাহী জেলার সভাপতি কাজি গিয়াস, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ সুমন, লেখক মাহবুব সিদ্দিকী, সাংবাদিক রেজাউর করিম রাজু ও আহমেদ শফি উদ্দিন।


অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিফা তাজনুর ও অরিত্র রোদ্দুর ধর, মিস মেহবুবা আফরোজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরাফি সিরাজি অন্তর, রাবির ক্যাব ইথুর এমআরবি তাহসিন আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়াও সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মারুফ কলি, গ্রোগ্রাম অফিসার সায়েদুল আবরারসহ রাজশাহীর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।


বক্তারা গণমাধ্যমকে ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার আহ্বান জানান এবং বলেন,“জ্বালানি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনসচেতনতা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন কখনও সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

পানছড়িতে সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফ (মূল) এর মধ্যে গুলিবিনিময়, অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার।