ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পা ধরে ক্ষমা চাইলেন শিক্ষককে মারতে আসা যুবক

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকীকে রড দিয়ে মারতে আসেন ইনজামামুল হক নামের এক স্থানীয় যুবক। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গাড়িতে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
  • আপলোড তারিখঃ 14-02-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 14431 জন
পা ধরে ক্ষমা চাইলেন শিক্ষককে মারতে আসা যুবক ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত
ad728


নিজস্ব প্রতিনিধি: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকীকে রড দিয়ে মারতে আসেন ইনজামামুল হক নামের এক স্থানীয় যুবক। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গাড়িতে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। 

ইনজামামুল হক সিলেট টুকেরবাজার এলাকার হায়দারপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত এ. কে. এম. তারেক কালামের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানায়,  লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পাস থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ রোডে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ইনজামামুল হকের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ইনজামামুল গালিগালাজ করতে করতে গাড়ি থেকে রড নিয়ে বের হয়ে অধ্যাপক আশরাফ সিদ্দিকীকে মারতে রড নিয়ে  তেড়ে যান। এ সময় অধ্যাপক আশরাফ সিদ্দিকীর ড্রাইভার ইনজামামুলকে থামানোর চেষ্টা করলে ইনজামামুল চিৎকার শুরু করেন।

 শিক্ষার্থীরা জানান, ‘মেইন গেইটের সামনে আমাদের শিক্ষকের সাথে ঝামেলা হতে দেখে আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করতে গেলে ওই ছেলে খবর দিয়ে ৪ জন মহিলাসহ ১৫-২০ জন স্থানীয়কে নিয়ে আসেন। তারা এসেই আমাদের গালিগালাজ করতে করতে উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করেন। তখন আমাদের শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে তারা (স্থানীয়রা) নিরাপত্তা দিতে ওই ছেলেকে একটা দোকানে আটকে রাখলে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক দফা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ইনজামামুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসলে ইনজামুল  নিজের দোষ স্বীকার করে মুসলেকা দিয়ে অধ্যাপক আশরাফ সিদ্দিকীর পা ধরে ক্ষমা চান। এরপর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

সিলেট জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ বলেন, ‘রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককের গাড়ির সঙ্গে ইনজামামুল হক নামের এক যুবকের গাড়ির ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়ে ঝামেল সৃষ্টি হলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন যুবকটি পা ধরে মাফ চান এবং মুসলেকা দেন। ঘটনাটি সেখানে সমাধান করা হয়। এরপর আমাদের হাতে তাকে সোপর্দ করা হলে আমরা তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। তিনি জানান,  এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।’


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ইসির অধীনে রাখার দাবীতে শরীয়তপুরে মানববন্ধন