ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি নারী সৈনিকের বর্ণনায় হামাস বন্দিদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় শ্রদ্ধাশীল ছিল

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া এক ইসরায়েলি সৈনিক দাবি করেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে বন্দী থাকা ইসরায়েলি সৈনিকরা তাদের ধর্মীয় রীতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন।
  • আপলোড তারিখঃ 22-02-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 10150 জন
মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি নারী সৈনিকের বর্ণনায় হামাস বন্দিদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় শ্রদ্ধাশীল ছিল ছবির ক্যাপশন: মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি নারী সেনা আগাম বার্গার। (ছবি-আল জাজিরা)
ad728

  তিনি জানান, হামাসের সদস্যরা তাদের ইহুদি প্রার্থনা বই সরবরাহ করেছেন এবং ধর্মীয় উৎসব পালনের অনুমতি দিয়েছেন। 

ইসরায়েলি সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে,  

 সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে বন্দী থাকা ইসরায়েলি সৈনিক আগাম বার্গার । তিনি তার বন্দীজীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, হামাসের সদস্যরা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনি বলেন, "প্রায় এক বছর আগে, হামাসের সদস্যরা আমাদের কাছে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আসেন, যার মধ্যে ছিল সিদুর (ইহুদি প্রার্থনা বই)। আমরা জানি না তারা এটি কীভাবে পেয়েছেন, কিন্তু তারা আমাদের প্রার্থনা বই দিয়েছেন।

বার্গার আরও বলেন, এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা ছিল না, বরং আমরা যখন এটি চেয়েছি, তখন তারা এটি আমাদের দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, তিনি এবং তার সহযোদ্ধারা রেডিও ও টেলিভিশনের মাধ্যমে তারিখ অনুসরণ করে ইহুদি উৎসবের সময় নির্ধারণ করতেন। 

তিনি বলেন, আমি পেসাচ (ইহুদি উৎসব) পালন করতে পেরেছি এবং খামিরযুক্ত রুটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পেরেছি। আমি কর্নমিল চেয়েছিলাম এবং তারা তা আমাকে দিয়েছে। 

বার্গার আরও বলেন,  ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন 

 হামাসের সদস্যরা। তিনি ইয়োম কিপ্পুর (ইহুদিদের ধর্মীয় উপবাসের দিন) এবং এস্তারের উপবাস পালন করতে পেরেছেন। 

ইসরায়েলি সংবাদপত্র "মারিভ" এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বার্গার বন্দী অবস্থায়ও শাবাত (ইহুদিদের পবিত্র দিন) পালন করতেন। তিনি টেলিভিশন বা রেডিও দেখতেন না এবং হামাসের সদস্যরা শাবাতের আগে তাদের জন্য মোমবাতি নিয়ে আসতেন।

 ৭ অক্টোবর-২০২৩ ইং ইসরায়েলের নাহাল ওজ সামরিক ঘাঁটি থেকে  হামাস বার্গারকে  আটক করে। ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে, ২৬ জানুয়ারি তার সহযোদ্ধা দানিয়েলা গিলবোয়া, লিরি আলবাগ, কারিনা আরিয়েভ এবং নাআমা লেভিকেও মুক্তি দেওয়া হয়। 

২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি মিশর, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় ৪২ দিনের তিনটি পর্যায়ে বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়।

৭ অক্টোবর-২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। এছাড়া ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ নিউজ ডেস্ক

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

৬০ বিজিবি’র খাদলা বিওপির অপারেশনাল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন