স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গ্রামীন জনপদ কামাশপুরে এলাকার কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায় ফজিলপুর-কামাশপুরের প্রায় ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। চলতি বছরে টানা র্বষণের কারনে ওই রাস্তার বেশির ভাগই এখন বড় বড় খানা-খন্দক আর নর্দমায় পরিণত হয়েছিল।
সম্প্রতি ওই এলাকাবাসী রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে একটি লিখিত আবেদন দাখিল করলে ইউএনও মহোদয় তাদের সাফ জানিয়েন দেন যে, এতবড় রাস্তা সংস্কারে বর্তমানে তার কোন অর্থ বরাদ্দ নেই। হতাশ হয়ে এলাকার জনসাধরণ নির্বাহী অফিস থেকে ফিরে গিয়ে নিজেদের অর্থায়নে রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করে।
শুক্রবার সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে রাস্তার সংস্কার কাজ করতে দেখা গেছে। ভুক্তভোগীরা জানান নিরুপাই হয়ে এলাকাবাসী চাঁদা ভাঙ্গন করে অর্থ সংগ্রহ করে ভিকু মেশিন দিয়ে রাস্তায় মাটি দিয়ে কোন রকমে চলাচল উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ উপজলোর গোয়ালা ইউনিয়নের সব চাইতে অবহেলিত রাস্তা এটি। তাদের দাবী,বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার কারনে তৎকালীন আওয়ামীলীগ আমলে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে বর্ষা মৌসুমে অতি কষ্টের মধ্যে জনগন চলাচল করে আসছেন। এমনকি জরুরী প্রয়োজনে ওই রাস্তা দিয়ে কাঁধে করে রোগী বহন করতে হয়। দু’একজন রোগীর রাস্তায় মৃত্যু হয়েছে আবার অনেক সময় গর্ভবতী মা’কে ডেলিভেরী করার জন্য খাটে করে বহন করতে গিয়ে পথেই সন্তান ভূমিষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলার আদলপুর, ফজিলাপুর, কামাশপুর নতুনপাড়া, উপরপাড়া, তলাপাড়া, কামার পাড়া, ঢোড়পাড়া, মোন্নাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এই পথে চলাচল করে থাকে। এই রাস্তার পাশে ২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি মাদ্রাসা রয়েছে।
এলাকাবাসী তাদের দু:খ কষ্ট লাঘবে অনতি বিলম্বে জনগুরুত্বপূর্ন গ্রামীন এই রাস্তাটি পাকাকরনে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।