ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডে-কেয়ার সার্জারি,

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে শিশু সার্জারি বিভাগে চালু হতে যাচ্ছে ‘সকালে অপারেশন, বিকেলে ছুটি’ শীর্ষক স্লোগানে ডে-কেয়ার সার্জারি কার্যক্রম।
  • আপলোড তারিখঃ 26-07-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 9005 জন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডে-কেয়ার সার্জারি, ছবির ক্যাপশন: চমেকে শিশু সার্জারি বিভাগে চালু হবে ‘সকালে অপারেশন, বিকেলে ছুটি’ শীর্ষক স্লোগানে ডে-কেয়ার সার্জারি কার্যক্রম।
ad728



আমিনুল হক,নিজস্ব প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে শিশু সার্জারি বিভাগে চালু হতে যাচ্ছে ‘সকালে অপারেশন, বিকেলে ছুটি’ শীর্ষক স্লোগানে ডে-কেয়ার সার্জারি কার্যক্রম। এরই মধ্যে কার্যক্রমের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১ আগস্ট থেকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার বিষয়ে জানা গেছে। শিশু সার্জারি বিভাগের উদ্যোগ এবং অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় এই কার্যক্রমটি চালু করা হচ্ছে।


হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশু সার্জারি বিভাগের ডে-কেয়ারে করা হবে শিশুদের নানা রোগের অস্ত্রোপচার। বর্তমানে কার্যক্রমের প্রয়োজনীয় উপকরণ স্থাপন করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ডে-কেয়ার সার্জারি বিভাগে খতনা, হার্নিয়া-একশিরা, হাইড্রোসিল, জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ সমস্যা, পায়ুপথের পলিপ, মলদ্বার বের হওয়া, জন্মগতভাবে নাভির সমস্যা, শরীরের যে কোনো টিউমার, জিহ্বার জন্মগত সমস্যা, রক্তনালির টিউমার, গলা ও কানের সামনে থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হওয়াসহ জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটির অপারেশন করা হবে।

প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের রোববার, দ্বিতীয় সপ্তাহের মঙ্গলবার ও তৃতীয় সপ্তাহের বৃহস্পতিবার শিশু সার্জারি বিভাগের বহির্বিভাগের যোগাযোগের মাধ্যমে এই অপারেশন করা হবে জানানো হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ জানান, হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডেই রোগীর চাপ। বিশেষ করে শিশু সার্জারি ও সাধারণ সার্জারির চাহিদা বেশি। কিন্তু হাসপাতালের এই চাপ নেওয়ার মতো সামগ্রিক সক্ষমতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই শিশুদের বিষয়টি চিন্তা করে শিশু সার্জারি বিভাগে ‘সকালে অপারেশন, বিকেলে ছুটি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে নতুন করে কাজ শুরু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিশু সার্জারি হওয়া রোগীদের ভোগান্তি কমবে। তারা দ্রুত চিকিৎসা পাবে।

জানা যায়,বর্তমানে চমেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে অনুমোদিত শয্যা আছে ৪০টি। তবে ওয়ার্ডের উদ্যোগে শয্যা বৃদ্ধি করে ৭৬টি করা হয়। কিন্তু শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকে নিয়মিত। এ বিভাগে শিশুদের বিভিন্ন সার্জিক্যাল রোগ এবং অবস্থার চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বর্তমানে চমেক হাসপাতালে দুই হাজার ২২২টি শয্যার বিপরীতে প্রতিনিয়তই রোগী ভর্তি থাকে তিন হাজার ২০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ পর্যন্ত।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

সাপাহারে জুলাই অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ ও গণমিছিল