ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আতাউর রহমান খান সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান

শরীয়তপুরের কৃতিসন্তান, কানাডা প্রবাসী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, দানশীল ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান খান সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান।
  • আপলোড তারিখঃ 21-08-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 29987 জন
আতাউর রহমান খান সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান ছবির ক্যাপশন: আতাউর রহমান খান
ad728




স্টাফ রিপোর্টার:

শরীয়তপুরের কৃতিসন্তান, কানাডা প্রবাসী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, দানশীল ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান খান সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান।

তিনি তাঁর মানবিক কর্মের মাধ্যমে তাঁর জন্মস্থান শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন তথা শরীয়তপুরসহ সারাদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।


জানাগেছে, আতাউর রহমান খান শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের সন্তান। ১৯৮৮ সালে

জাজিরা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে করে ১৯৯১ আমেরিকা চলে যান। এর নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে কানাডা গিয়ে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি কানাডায় দূর প্রবাসে থাকলেও নিজ জন্মস্থান শরীয়তপুর তথা বাংলাদেশের কথা এক মুহূর্তের জন্য ভুলে যাননি। তাই এলাকার মানুষের বিপদে আপদে, সুখে-দুখে পাশে থাকেন।

তিনি আত্ম মানবতার সেবার জন্য আতাউর রহমান খান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। ওই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এলাকায় দরিদ্রদের আর্থিক সহযোগিতা, গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা, বেকারদের কর্মসংস্থান, প্রতি মাসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, গৃহহীনদের ঘর উপহার সহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে আসছেন। এছাড়াও এলাকার যুবকদের মাদক মুক্ত রাখতে খেলাধূলার প্রতি আগ্রহী আতাউর রহমান খান স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই ক্লাবের মাধ্যমে তিনি বছরের বিভিন্ন সময়ে ফুটবল, ক্রিকেট, হাডুডু, নৌকা বাইচ সহ খেলাধূলার আয়োজন করে থাকেন। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বছর জুড়ে উৎসব মুখর পরিবেশে তা সম্পন্ন হয়। এসব কর্মকান্ডে বিভিন্ন সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক সহ অনেকেই অংশগ্রহণ করেন। এসব কর্মকান্ডের জন্য তিনি এলাকায় মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। দল মত নির্বিশেষে তিনি সবার অতি আপনজন। 



আর জানাগেছে, আতাউর রহমান খান নিজস্ব অর্থে একটি রাস্তা নির্মাণ করেছেন। অসহায় গরিব মেয়েদেরকে বিয়ের ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। এ পর্যন্ত গরীবদের মাঝে ১০০ টি রিক্সা ভ্যান দান করেছেন। এমনকি ২০২৪ সালে ফেনীতে যখন বন্যা হয়। তখন এই আতাউর রহমান খান প্রচুর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন  এবং উদ্ধার কাজের জন্য দুইটা স্পিডবোট দিয়েছিলেন।



এ ব্যাপারে স্থানীয় অনেকেই বলেন, আতাউর রহমান খান বিদেশে থাকলেও নিজ এলাকার মানুষের কথা ভুলে যাননি। কোনো স্বার্থ ছাড়াই মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার কারণে অনেকের আর্থসামাজিক উন্নতি ঘটেছে। আমরা তাঁর জন্য দোয়া করি। 


সংগঠনের সভাপতি মো.সুরুজ আহম্মেদ খান বলেন, আতাউর রহমান খান ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন যাবৎ জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে। এই ফাউন্ডেশন আগামী দিনেও ভালো কাজ করে যাবে, ইনশাআল্লাহ।


এ ব্যাপারে আতাউর রহমান খান, আর স্বপ্ন শরীয়তপুরের প্রত্যেকটা পরিবার যেন নিজস্বভাবে স্বয়ংসম্পন্ন হতে পারে। সেই লক্ষ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আমি একটা ওল্ড হোম করতে চাই, যাতে কোনো অসহায় বাবা-মায়ের শেষ বয়সে কষ্ট না হয়। আমি সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। এজন্য সকলের দোয়া কামনা করছি।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

পানছড়িতে সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফ (মূল) এর মধ্যে গুলিবিনিময়, অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার।