মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার :
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচী তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ জনগণের মাঝে পৌঁছে দেওয়া এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশফাক আহমেদ জুনের নেতৃত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে কটিয়াদী উপজেলা জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিদলের আয়োজনে উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের ধনকীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রবীণ বিএনপি নেতা মোঃ রমজান আলীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সাংস্কৃতিক দলের আহবায়ক মোঃ আলমগীর হোসেন আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশফাক আহমেদ জুন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. ওমর জাকির বাবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম ফারুক চাষী, কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, মিজানুর রহমান স্বপন, শেখ জসিম উদ্দিন মেনু, মোঃ শফিকুর রহমান বাদল, শ্রম ও প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মোঃ জহির উদ্দিন বাদশা, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মোঃ শরিফ মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মাইনুল হক মেনু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আলমগীর হোসেন, সৈয়দ টিপু সুতান, উপজেলা তাঁতীদলের আহবায়ক আঃ রাশিদ মাস্টার, মুমুরদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ নূরুল ইসলাম সরকার প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আশফাক আহমেদ জুন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচী তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে। দেশে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইছে। গত ১৭ বছর এ দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেননি। আমাদের দল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম বছরেই ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের যে অঙ্গীকার করেছে, তা বাস্তবায়নে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবো। এই এক কোটি মানুষের মাঝে আমাদের এলাকার অনেক তরুণ-তরুণী যাতে স্থান পায়, আমরা সেটা নিশ্চিত করবো। দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। শুধু দেশে না, প্রবাসে আমাদের আরো বেশি সংখ্যক তরুণের কাজের ব্যবস্থা আমরা করবো। ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে এই চেষ্টা আমরা কয়েক যুগ ধরে করে আসছি। এবার সরকারী উদ্যোগে বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও আমাদের এই এলাকার তরুণরা যাতে বিশেষ সুবিধা পায়, আমরা সেটা নিশ্চিত করবো। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যের সহায়ক এমন পরিবেশ গড়ে তুলবো যাতে ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজি মুক্ত পরিবেশে শান্তিতে ব্যবসা করতে পারেন। বেসরকারী খাতে আমাদের এই এলাকায় নতুন নতুন শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার নিশ্চয়তা আমরা দিচ্ছি। এর মাধ্যমে এলাকার ও জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন অনেক চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তরুণ সমাজের উন্নয়ন হবে আমাদের সব প্রচেষ্টার মূল কেন্দ্রবিন্দু। তাদের জন্য কর্মমূখী ও মানসম্মত শিক্ষার প্রসার এবং তাদেরকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরে আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। নারীরা সমাজের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। প্রিয় বাংলাদেশে জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তারা পিছিয়ে থাকলে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে এলাকা ও দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। আমরা মেয়েদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ সব ধরণের প্রয়োজনে পাশে থাকবোই। আপনারা জানেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান অঙ্গীকার করেছেন যে, আমাদের দল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষক কার্ড ও ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে। কৃষক কার্ড দিয়ে আপনারা সুলভ মূল্যে সার-বীজ-কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম কিনতে পারবেন। ফ্যামিলি কার্ডধারী গরীব মানুষেরা চাল-ডাল-তেল-লবনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের উপকরণ পাবেন। এই দুই ধরণের কার্ড যাতে আমাদের এলাকার অনেক মানুষ পায়, সেটা আমরা নিশ্চিত করবো। আমি কথা দিচ্ছি, আমি মনোনয়ন না পেলেও আপনারা ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবেন। যাতে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত হয়। আমি সব সময় যেমন আপনাদের পাশে ছিলাম, আগামীতে আরো কাছের মানুষ হয়ে আপনাদের সাথে থাকবো। আশা করি, আপনারাও পাশে থাকবেন। আমরা সবাই মিলে পুরো এলাকাকে আরো সুন্দর, আরো উন্নত, আরো শান্তিময় করে তুলবো- এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।