অধ্যাপক শেখ কামাল উদ্দিন:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কসবা উপজেলা ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী সোমবার বিকেল ৪টায় কসবা মডেল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কসবা উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি মুহাম্মদ আতাউর রহমান সরকার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের আইন ও যুব বিষয়ক সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম, আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের পীরজাদা গোলাম কবির সাঈদী। বক্তব্য রাখেন পৌর জামায়াতের আমীর হারুনুর রশিদ, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, বি-বাড়িয়া জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি হাফেজ নুরুল আমিন, উপজেলা শিবির সভাপতি সাইফুল্লাহ আল আরিফ। এতে আমেরিকা প্রবাসী জামায়াত নেতা মাহবুবুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি আল আমিন সরকার, পৌর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নুর মাজিদুল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, নয়া স্বাধীনতার পর এবারের ঈদ নতুন একটি আবহে উদযাপিত হয়েছে।দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগ মানুষের ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আওয়ামী জুলুমের অবসানে যারা রক্ত দিয়েছে আমরা শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং আহত পঙ্গুত্ববরণকারীদে জীবন্ত শহীদদের সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।
আতাউর রহমান সরকার বলেন কোন ষড়যন্ত্র জামায়াতের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবেনা।জামায়াত তার অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, মাহে রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে বাকী ১১ মাস আমাদেরকে সুন্দরভাবে চলতে হবে। তাকওয়াপূর্ণ সমাজ বিনির্মানে জামায়াত কর্মীদেরকে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। মায়া-মমতা ও ভালোবাসা ভরা সমাজ কায়েমে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য তিনি সংগঠনের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ঈদ পুনর্মিলনী শেষে সহস্রাধিক জামায়াত কর্মী কসবা পুরাতন বাজার ও নতুন বাজারে গণসংযোগ করেন।
উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা শিবলী নোমানী ও সেক্রেটারি গোলাম সারওয়ারের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পুনর্মিলনীতে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ গ্রহণ করেন।