শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “দয়া করে আস্তে আস্তে রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করুন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। অতীতের ইতিহাসে দোষত্রুটি থাকলে ক্ষমা চেয়ে আসুন। একদিকে বলেন পিআর না হলে নির্বাচনে যাব না, অন্যদিকে বলেন গণভোট না হলে নির্বাচনে যাব না।”
তিনি আরও বলেন, “শুধু শেখ হাসিনা নয়, শেখ মুজিবের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। দিল্লির প্ররোচনায় যদি আবারও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ইউনুস সরকারের নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হয়, তাহলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি।”
জিয়াউর রহমানকে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পাথর মেরে ছবি ভাঙা যায়, কিন্তু হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলা যায় না। ১৬ বছর ধরে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ জানে— শহীদ জিয়ার দল কখনো জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি।”
তারেক রহমান প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, “তারেক রহমান যে আত্মত্যাগ করেছেন, ইন্টারিম সরকার যদি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে, তাহলে তিনিই হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিক, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।