স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রগতিশীল ইসলামী জোট নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই। কারণ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ এক গভীর সংকটে পড়বে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এমনি অবস্থায়ও অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জোর ঘোষণা দেওয়ায় প্রগতিশীল ইসলামী জোট নেতৃবৃন্দ সরকার প্রধানকে সাধুবাদ জানিয়ে আসন্ন নির্বাচনে প্রগতিশীল ইসলামী জোট অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি ও প্রগতিশীল ইসলামী জোট চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি এম এ আউয়াল এর সভাপতিত্বে এবং ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব ও প্রগতিশীল ইসলামী জোটের সমন্বয়কারী সাবেক পিপি এডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনায় অংশ নেন, জোটের শরীক দল বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মাহাদী হাসান বুলবুল, গণ আজাদী লীগের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউল্লাহ খান, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ চেয়ারম্যান মুফতি আহসান উল্লাহ সালামী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান সামছুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ জনমত পার্টির আহ্বায়ক সুলতান জিসানউদ্দিন প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এনামুল নাছির, সাধারণ ঐক্য আন্দোলনের সভাপতি হাবিব উদ্দীন আহমেদ ও বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ জুয়েল চিশতি প্রমূখ।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে প্রগতিশীল ইসলামী জোটকে পূণর্গঠন ও সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং এ লক্ষে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী), জনদল, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি (শেরেবাংলা) ও আশেকানে আউলিয়াহ পরিষদ। সুরেশ্বরী এর সাথে আলোচনা করার জন্য জোটের সমন্বয়কারী এডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম খান কে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সভায় গৃহীত অপর এক সিদ্ধান্তে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের লক্ষ্যে জোটের শরীক দলসমূহের প্রার্থী বাছাই পূর্বক প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।