কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত পরিদর্শন করেছেন এভিসিবি-৩ প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়া আখতার জাহান।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি ইউনিয়ন পরিষদের দেয়ালে সচেতনতামূলক লেখা- “অল্প সময়ে স্বল্প খরচে সঠিক বিচার পেতে, চল যাই গ্রাম আদালতে”, “নেব সেবা দেব কর, ইউনিয়ন হবে স্বনির্ভর”, “গ্রাম আদালতে দেওয়ানী মামলার ফি ২০ টাকা ও ফৌজদারী মামলার ফি ১০ টাকা, ফি ছাড়া অন্য কোনো খরচ নাই” ইত্যাদি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল কাজলকে ধন্যবাদ জানান এবং জনপ্রতিনিধিদের গ্রাম আদালত সক্রিয় রাখার নির্দেশনা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইয়াসিন খন্দকার, এভিসিবি-৩ প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক বিভাষ চক্রবর্তী, প্রজেক্ট অ্যানালিস্ট মো. শাহাদাত হোসেন, ইপসা’র প্রকল্প সমন্বয়কারী ফারহানা ইদ্রিস, কিশোরগঞ্জ জেলা ম্যানেজার হাফিজা আক্তার, কুলিয়ারচর উপজেলা সমন্বয়কারী হামিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট মশিউর রহমান, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মো. মহসিন রানা, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাসুদ আহমেদ, উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ইমরান খান, সিনিয়র সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
এর আগে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত জেলা পর্যায়ের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি। সভায় জানানো হয়, জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৬১৬টি মামলা দায়ের হয়, এর মধ্যে ১ হাজার ৪১৯টি নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ১ হাজার ৩৬৬টির রায় বাস্তবায়িত হয়েছে। বিশেষ করে নারী আবেদনকারীদের মধ্যে ৩০৫ জনের মধ্যে ২৯৬ জন বিচার পেয়েছেন।
সুরাইয়া আখতার জাহান বলেন, গ্রাম আদালতকে আরও কার্যকর ও স্থায়িত্বশীল করতে সরকার কাজ করছে। তিনি মামলার নথি নিয়মিত হালনাগাদ রাখা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে এজলাস স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।