অধ্যাপক শেখ কামাল উদ্দিন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ও কুমিল্লা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, জমিয়াতুল মোদাররেসিন কুমিল্লা জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল্লামা হযরত মাওলানা মুফতি মো. আব্দুল মতিন (রহঃ) গত ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
ইন্না.... রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সাবেক জেলা সভাপতি আল্লামা হযরত মাওলানা মুফতি মো. আবদুল মতিন দেশ বরেণ্য আলেম ছিলেন। ইতোপূর্বে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভাদুঘর দারুসসুন্নাহ কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ছিলেন।
তাঁর জানাযায় বিভিন্ন মাদ্রাসার হাজার হাজার সুপার-প্রিন্সিপাল, ছাত্র-শিক্ষক, পীর মাশায়েখ, আবাল বৃদ্ধ জনতা নামাযে জানাযায় অংশ গ্রহণ করেন। জানাযা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রাজাপুরা দরবার শরীফের হযরত মাওলানা নাদীমুর রহমান পীর সাহেব, এডভোকেট ইসলাম উদ্দিন, তালতলা দরবার শরীফের মাওলানা শাহ আরেফ মাহমুদ, বাংলাদেশ আনসার এর উপ-পরিচালক মোস্তাক আহমাদ, মরহুমের একমাত্র ছেলে তৌফিকুল বারী, পুরকুইল দরবার শরীফের ড. ছদরুদ্দীন পীর সাহেব, মাছিহাতা দরবার শরীফের পীর গালীব সাহেব, অধ্যাপক শেখ কামাল উদ্দিন, কসবা প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি আবদুল হান্নান মাস্টার, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, কাজী সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা শিবলী নোমানী, মাওলানা নাজিম উদ্দীন, অধ্যক্ষ আকরাম হোসেন, অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন, মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন, অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান, অধ্যাপক মাসুম, ডিজিএম মনির হোসেন, মাওলানা ছফিউল্লাহ, ফজলুল হক মাস্টার, মাওলানা নজরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, সুপার আবুল ফায়েজ, মাওলানা জহিরুল হক প্রমুখ।
কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপির লিয়াকত আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুক্রবার বেলা ৩টায় নামাযে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁর স্ত্রীর কবরের পাশে দাফন করা হয়। এর পূর্বে তাঁর কর্মস্থল কুমিল্লা ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে সকাল ১০টায় ১ম নামাযে জানাযা আদায় করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে, ৩ কন্যা ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
দেশ বিখ্যাত এ মুহাক্কিক আলেমে দ্বীনের ইন্তেকালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কসবার পূর্ব এলাকার সর্ববৃহৎ এ জানাযা শেষে দোয়া-মোনাজাত করে সকল মাইয়্যেতের মাগফিরাত কামনা করা হয়।