হাওরাঞ্চল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে উপজেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক, দেওঘর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আনিত ’পুলিশের কাছ থেকে দেওঘর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন খাঁনকে ছিনিয়ে নেওয়ার’ মিথ্যা অভিযোগে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করা হয়েছে। এর আগে দেওঘর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আশ্রাফি উপজেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে জেলা বিএনপি’র সভাপতি/সম্পাদক বরাবরে লিখিত ভাবে উল্লেখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রæয়ারী) বিকেলে উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের সাভিয়ানগর বাজারে এ অভিযোগকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবী করে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল শেষে ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক সালেক আহমেদ, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক তাবারক ভ‚ইয়া, ২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি বিদ্যান মিয়া, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি জালাল মিয়া, থানা যুব দলের সদস্য মোয়াজ্জেম মিয়া ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম বিজয় প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম শহীদ জিয়ার আদর্শে একজন পরীক্ষিত সৈনিক। তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত হয়েছেন। তিনি দেওঘর ইউনিয়ন ছাত্রদল, যুবদল ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি। দেওঘর ইউনিয়ন বিএনপি’র ৪বার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে টানা ২০ বছর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে উপজেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এযাবৎ কালে সকল রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থাকায় ৪বার কারাবরণ করেছেন। 

বক্তারা বলেন, গিয়াস উদ্দিন আশ্রাফি ৬টি রাজনৈতিক দল বদল করে বর্তমানে দেওঘর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জাহাঙ্গীর আলমের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে গিয়াস উদ্দিন আশ্রাফি এ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগ করেন। তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

উপজেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এ প্রতিনিধিকে জানান, ছাত্রজীবন থেকে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছি। জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছি। আমি রাজনীতির পাশাপাশি হক সাহেব উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন দাতা সদস্য এবং পরিচালনা পরিষদের ৪বারের সাবেক নির্বাচিত সদস্য। সাভিয়ানগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, দেওঘর বড় মসজিদ ও দেওঘর পঞ্চায়েতের সভাপতি হিসেবে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের পাশে থেকে সমাজ সেবায় নিয়োজিত আছি। 

দেওঘর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আশ্রাফি বিভিন্ন দল ঘুরে এসে এখন বিএনপি’র রাজনীতি করছেন। তিনি সেচ প্রকল্পের নামে কৃষকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ২লক্ষ টাকার প্রজেক্ট নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে বিক্রি করেছেন। তিনি আমার সততা ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।