ঢাকা | বঙ্গাব্দ

হাজার কোটি টাকা প্রতারণার শিকার হয়ে পথে বসেছেন কয়েকশ ব্যবসায়ী

চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই থেকে ১৬ বছরে হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা অন্তত ৩০ ব্যবসায়ী।এই প্রতারণার শিকার হয়ে কয়েক শ ব্যবসায়ী এখন পথে বসেছেন।প্রতারক ব্যবসায়ীদের কেউ কানাডা, কেউ দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে বিলাসী জীবনযাপন করছেন।
  • আপলোড তারিখঃ 01-03-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 6450 জন
হাজার কোটি টাকা প্রতারণার শিকার হয়ে পথে বসেছেন কয়েকশ ব্যবসায়ী ছবির ক্যাপশন: প্রতীকী ছবি
ad728



নিজস্ব প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই থেকে ১৬ বছরে হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা অন্তত ৩০ ব্যবসায়ী।এই প্রতারণার শিকার হয়ে কয়েক শ ব্যবসায়ী এখন পথে বসেছেন।প্রতারক ব্যবসায়ীদের কেউ কানাডা, কেউ দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। 


প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যবসায়ীরা জানান,তারা বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী সংগঠনে বিচার দিলেও সুবিচার পাননি। বরং অনেক ব্যবসায়ীকে পালাতে সহায়তা করেছেন কিছু ব্যবসায়ী নেতারা।গত সরকারের সময় পুরো খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই ব্যবসাকেন্দ্রে চলেছে প্রতারকদের রাজত্ব। যার কারণে বিশ্বাসের ভিত্তি ব্যবসা-বাণিজ্যে পড়েছে অবিশ্বাসের কালো ছায়া।এখন বাকিতে লেনদেন বন্ধ বললেই চলে।কেনাবেচায় ডিও ব্যবসা ও স্লিপ বাণিজ্যের মাধ্যমে নানা কৌশলে প্রতারকরা বিপুল অঙ্কের এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।


খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটির নেতারা হাজার কোটি টাকা নিয়ে প্রতারক ব্যবসায়ীদের পালানোর কথা স্বীকারও করেছেন। তারা বলেন, পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও নতুন করে এ ধরনের প্রতারণা যাতে কেউ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন।


এবিষয়ে কথা বলে জানাগেলো, এ বাজারে বিশেষ করে ভোগ্যপণ্য-চাল, ডাল, তেল, চিনি, গম ও এলাচের ব্যবসা হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ কোটি টাকার কেনাবেচা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্যাংকের ৫০টিরও বেশি শাখার মাধ্যমে হয় লেনদেন।


চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা পণ্যের একটি বিশাল অংশ খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ের পাইকারি বাজারে কেনাবেচা হয়। আমদানিকারকদের থেকে পাইকাররা পণ্যের ডিও  কিনে থাকেন।এই ডিও স্লিপ নিয়ে গুদাম থেকে পণ্য ছাড় করেন ক্রেতা। সর্বনিম্ন এক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ এক মাসের বাকিতে ডিও কিনে চেক দেওয়া হয়। পণ্যের দাম ওঠানামার ওপর ভিত্তি করে প্রতিদিনকার ট্রেড বা ব্যবসা হয়ে থাকে।


সেখানে ইউনুচ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, আয়ান ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ৬০ কোটি টাকা মেরে দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। ৭/৮ জন পাওনাদার তাদের কাছে বিচার নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু কৌশলে ওই ব্যবসায়ী বাজার থেকে সরে গেছেন। এ কারণে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে।


তখন খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন মাহবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ ছগীর আহমদ। দুজনই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ৫ আগস্টের পর তরুণ ব্যবসায়ীরা ওই ব্যবসায়ী সংগঠনে নিয়ে আসেন নতুন নেতৃত্ব। অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি মীর গ্রুপের আবদুস সালাম এবং সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান।এ বিষয়ে আবদুস সালাম বলেন, প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ীদের বিষয়টি আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এই প্রতারণা ঐক্যবদ্ধভাবে রোধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যাতে টাকা মারতে না পারে বা টাকা মেরে বিদেশ পালাতে না পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা করব। পালিয়ে গেলে বিদেশ থেকে ধরে আনার ব্যবস্থাও করব।


সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতারণা বন্ধে বাকিতে বেচাকেনা ৯০ শতাংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও যুগ যুগ এখানে বিশ্বাসের ওপর বাকিতে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হতো। এখন সেই বিশ্বাস উঠে গেছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে এখানে ব্যবসায়িক প্রতারণা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

কলারোয়া উপজেলাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আহবায়ক কমিটি গঠন