ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মর্মস্পর্শী একটি ভিডিওর মাধ্যমে দল দিল ফিলিস্তিনদ

মর্মস্পর্শী একটি ভিডিওর মাধ্যমে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আসন্ন দুই ম্যাচের দল ঘোষণা করেছে প্যালেস্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)।
  • আপলোড তারিখঃ 17-03-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 28525 জন
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মর্মস্পর্শী একটি ভিডিওর মাধ্যমে দল দিল ফিলিস্তিনদ ছবির ক্যাপশন: ছবি :- সংগ্রহীত
ad728

 দেশটির যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজায় ধারণ করা সেই ভিডিওটির পরতে পরতে মিশে রয়েছে যুদ্ধ, ধ্বংস এবং জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকা সংগ্রামের চিত্র। ফুটবলই যেখানে তরুণদের বেঁচে থাকার এক রসদ।

৩ মিনিট ১১ সেকেন্ডের সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকেই একদল কিশোর খুঁজে নিতেছেন তাদের পছন্দের নায়কদের ছবি। আর এমন ২৬টা ছবিই আসলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আসন্ন দুইটি ম্যাচের ফিলিস্তিনের সেই স্কোয়াড।

ভিডিওটির প্রথমেই দেখা যায় দেশটির(পিএফএ) ফুটবল জার্সি গায়ে একটি কিশোর বিধ্বস্ত গাজার সমুদ্র তীরে ফুটবল নিয়ে খেলছে।এমতাবস্থায় সে তীরে এসে বসে এবং পাশেই একটা পাথরের উপর বাধাই করা একটা ছবি দেখতে পায়। ছবিটি ছিল ফিলিস্তিন জাতীয় ফুটবল দলের ডিফেন্ডার মুসাব বাত্তাতের।

সে ছবিটাকে যত্নে আকড়ে ধরে ঢোকে শহরের ভেতর, যেখানে গৃহহীন মানুষ জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই করছে। যেখানে ১৫ মাসের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ, যেই শহীদদের মধ্যে ফুটবলার আছেন কমপক্ষে ৩৮০ জন।

সে সেখানে তার এক বন্ধুকে পায়, তার যে বন্ধুটিও খুঁজে পেয়েছে আরেকটা পোর্টেট। দুজনই হাঁটতে হাঁটতে পেয়ে যায় অন্য আরেকজন বন্ধুর দেখা।সেখানকার বিধ্বস্ত বাড়িঘরের ভেতর থেকে সেও খুঁজে পেয়েছে আরেকটি ছবি। এরপর তিনজনই সেই সব ছবি সঙ্গী করে শহরের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছায় একটি রিফিউজি ক্যাম্পে। যেখানে রয়েছে খাদ্যের অভাব, সুপেয় পানির অভাব, সর্বত্রই যেন টিকে থাকার কঠিন লড়াই। আর এর মাঝেও হাসিমুখে পালন করা হচ্ছে মাহে রামাজান।

ছেলেগুলো সেখানে আরও কয়েকজন কিশোরের সঙ্গে যোগ দেয়, যেখানে তারা একটি তাবুর মধ্যে একজন শিক্ষকের কাছে দিক্ষা নিচ্ছে। তাবুটির চারিদিকের দেয়ালে সাটানো তাদের পছন্দের নায়কদের ছবি।

এভাবেই বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে স্কোয়াডে  খেলোয়াড়দের সংখ্যা। অবশেষে স্কোয়াড পূর্ণ হলে তাদের সেই সব পোর্টেট নিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নোংরা, ছেড়া এক টার্ফের পাশে ভাঙাচোরা গোলপোস্টে। অতঃপর ছেলেগুলো ফুটবল খেলতে শুরু করে।

জানা গেছে,গাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে বেরিয়ে আসা এই স্কোয়াডই আগামী ২০ মার্চ জর্দান এবং ২৫ মার্চ ইরাকের বিপক্ষে খেলবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে।

ফিলিস্তিন আশা করেছিল তাদের ম্যাচগুলো জেরুজালেমের ফয়সাল আল-হুসেইনি স্টেডিয়ামে খেলার জন্য। কিন্তু সম্ভব হলো না,কারণ- ফিলিস্তিনের মাটিতে ফুটবল খেলার অনুমতি দেয়নি এশিয়ার ফুটবল কনফেডারেশন। ম্যাচ দুটি তাই অনুষ্ঠিত হবে জর্দানের আম্মাম ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ নিউজ ডেস্ক

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

চট্টগ্রামে অনলাইন ব্যবসার আড়ালে ছিনতাইয়ের ফাঁদ, চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার