আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মনে কি পড়ে করোনাকালের কথা?
সেই ২০১৯ এর ডিসেম্বর থেকে ২০২২ করোনা সময়কালে রাস্তাঘাট পুরো ফাঁকা।ঘরবন্দি বাসাটিই যেন অনেকের নিকট হয়ে গিয়েছিল আস্ত একটা জেলখানা। লকডাউনে নিথর ছিলো পুরো বিশ্ব।বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেঁড়ে নেওয়া এই প্রাণঘাতী করোনা আবারো হাজির হয়েছে নতুন ভয়ংকর ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে।
আবারও করোনা ভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে রীতিমতো এখন কাঁপছে পুরো দক্ষিণ এশিয়া।। ভারতে ইতিমধ্যে ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর বাংলাদেশেও নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪ জন, যা পরীক্ষা করা রোগীর ৫০ শতাংশ।
শুধু কি বাংলাদেশ বা ভারত?
একদম না।নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারসহ পাকিস্তানেও ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। তবে, তুলনামূলক ভারতেই এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে বেশ দ্রুত। বিশেষ করে আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে করোনার এই নতুন প্রকোপে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩১ জন যা আমাদেরও বেশ উদ্বেগের কারণ।
ভারতে এখন পর্যন্ত নতুন এই করোনার ভ্যারিয়েন্টে প্রায় ৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে হুহু করে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এ পর্যন্ত কেরালায় এরপরের অবস্থানেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। ভারতীয় গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্যমতে, কেরালায় ১,৪৩৫ জন, মহারাষ্ট্রে ৫০৬ জন আর দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৪৮৩ জন।
তাছাড়াও গুজরাটে আক্রান্তের কোটা পেরিয়েছে আড়াইশো এর ঘরে। তামিলনাড়ু আর কর্ণাটকেও আক্রান্ত হয়েছে ৪০০ জনের বেশি। এছাড়া রাজস্থান, উত্তর প্রদেশে, হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, ওড়িশা, পাঞ্জাব ও জম্মু কাশ্মীরেও করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার নতুন ভয়ংকর এই ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশেও। আর ইতোমধ্যে ১৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি যেনো নতুন করে সতর্কবাণী দিলো বাংলাদেশকে।