সোমবার(২৩জুন) সকাল ১১টার পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিতে কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বক্তৃতা, মতবিনিময় ও আলোচনা করেন। এরপর একদিনের বিরতির ঘোষণা দিয়ে তারা নামাজের উদ্দেশ্যে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, “সরকার একেবারেই নিরুত্তাপ নয়। আজ একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে। সেখান থেকে ইতিবাচক বার্তা আসতে পারে বলে আমরা আশাবাদী।”
তিনি আরও বলেন, “সব মন্ত্রণালয়ে কর্মবিরতি পালন হচ্ছে। আগামীকাল আমরা ঢাকার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে গণসংযোগ করব। বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য আজ একটু বিরতি প্রয়োজন।”
এর আগে, গত ২৫ মে সরকার এক অধ্যাদেশ জারি করে চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে কোনো বিভাগীয় মামলা ছাড়াই কেবল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করার বিধান চালু করে। এই অধ্যাদেশের বিরোধিতায় আন্দোলনে নামে সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
আরেক কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “গতকাল একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জনরোষের ঘটনা ঘটেছে। কাজ করলে তার পরিণতি ভোগ করতে হয় — এ কথাটি সরকারকে এখনই বুঝতে হবে।”
সরকার গঠিত একটি পর্যালোচনা কমিটি অধ্যাদেশটি সংশোধনের সুপারিশ করলেও কর্মচারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। পর্যালোচনা কমিটিতে রয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।