ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় ভারতের জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহানুভূতি ও সমর্থনের জন্য ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছে ইরান। ভারতে অবস্থিত ইরানি দূতাবাস এক বিবৃতিতে এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছে, "ভারতের জনগণ এবং নানা স্তরের প্রতিনিধিরা ইরানের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন—এটা আমাদের জন্য গভীর প্রেরণার উৎস হয়েছে।"
বুধবার (২৫ জুন) ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই-য়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
বিবৃতিতে কী ছিল?
ইরানি দূতাবাস তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রকাশিত বিবৃতিতে বলে—“ভারতের জনগণ, রাজনৈতিক দল, সংসদ সদস্য, এনজিও, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীরা ইরানের পাশে দৃঢ়ভাবে ও স্পষ্টভাবে দাঁড়িয়েছেন। এই আন্তরিক সহানুভূতির জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
ইসরায়েলি হামলার প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রতিক্রিয়া
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলের "নৃশংস হামলার" সময়ে যখন ইরানি জনগণ সংকটে ছিল, তখন ভারতের পক্ষ থেকে প্রকাশ্য বিবৃতি, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও নৈতিক সমর্থন ইরানকে বড় মনোবল দিয়েছে।“এটি প্রমাণ করে যে বিশ্বমানবতার বিবেক এখনও জাগ্রত এবং মানুষ এখনো ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,”—বলে উল্লেখ করা হয়।
ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ
ইরান জানায়, ভারত-ইরান সম্পর্ক শুধুই কূটনৈতিক নয়, এর রয়েছে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ভিত্তি।“এই সংহতি শুধুই রাজনৈতিক অবস্থান নয়, এটি ন্যায়, আইন ও বৈশ্বিক শান্তির প্রতি সমর্থন।”
ইরানের অবস্থান
ইরান পরিষ্কারভাবে জানায়, তারা সবসময় আন্তর্জাতিক আইনের মর্যাদা রক্ষার পক্ষে এবং আগ্রাসী ও সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।“জাতিসমূহের ঐক্য ও সংহতি যুদ্ধ, সহিংসতা ও অবিচারের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী প্রতিরোধ।”
শেষ কথায় কৃতজ্ঞতা
বিবৃতির শেষাংশে ভারতের জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আবারও ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয়—“এই ঐতিহাসিক ও মানবিক বন্ধন আমাদের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের পথে আরও দৃঢ় করবে।”