আমিনুল হক, নিজস্ব প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার(২১আগস্ট)৭/৯ সকাল নয়টার দিকে উপজেলার পৌর সদরের কেলিশহর রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার শিক্ষকের নাম শ্যামল কান্তি দে। তিনি পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।হামলায় আহত হয়ে বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে। এতে তারা ওই শিক্ষককে হামলার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার দাবি করে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শ্যামল কান্তি দে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিদ্যালয়টির আরও দুজন শিক্ষক তানিয়া ইয়াছমিন ওপ্রান্ত বড়ুয়া ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কেলিশহর রাস্তার মাথায় ছয় থেকে সাতজন যুবক তাঁদের অটোরিকশাটি আটকায়।তারা শ্যামল কান্তি দে কে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।এ সময় শ্যামল কান্তি দে'র সাথে থাকা দুই শিক্ষকের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক তানিয়া ইয়াছমিন জানান, হামলাকারীরা গালাগাল করে মামলা কেন দেওয়া হচ্ছে, এটি জিজ্ঞাসা করছিলেন। আর মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছিলেন। এরপর তাঁরা চিৎকার করলে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে শ্যামল কান্তি দে কে প্রাণে বাঁচান।
হামলার শিকার প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মিছিল, বিক্ষোভ করেও তাঁর ওপর ‘মব’ করার চেষ্টা করছে। এর আগেও তাঁকে একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় তিনি পটিয়া থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরিও করেন।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান জানান, ‘প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে। এর আগেও প্রধান শিক্ষক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। সেই জিডির পরিপ্রেক্ষিতেই নিয়মিত মামলা হবে।’