ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কচুয়া -বাগেরহাট সংসদীয় আসন পুনর্ববলের দাবিতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালিত।

বাগেরহাট ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১টি কমিয়ে জেলায় ৩টি সংসদীয় আসন করে নির্বাচনী সীমানার গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে ও ৪টি আসন বহাল রাখার দাবিতে কচুয়ায় চলছে সকাল সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি।
  • আপলোড তারিখঃ 08-09-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 12853 জন
কচুয়া -বাগেরহাট  সংসদীয় আসন পুনর্ববলের দাবিতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালিত। ছবির ক্যাপশন: কচুয়া
ad728


আয়শা সিদ্দিকা ,নিজস্ব সংবাদদাতা কচুয়া (বাগেরহাট):

বাগেরহাট ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১টি কমিয়ে জেলায় ৩টি সংসদীয় আসন করে নির্বাচনী সীমানার গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে ও ৪টি আসন বহাল রাখার দাবিতে কচুয়ায় চলছে সকাল সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জেলার বিভিন্ন উপজেলার মত কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কচুয়ার সড়কগুলোতে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।  বাজারে সীমিত কিছু দোকানপাট ছাড়া সেভাবে কোন দোকানপাট খুলতে দেখা যায়নি। সকালে হরতালে সমর্থনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টায়ারে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।আবার বিভিন্ন জায়গায় গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সাইনবোর্ড এবং বাঁধাল বাজারের প্রধান সড়কে হরতালের সমর্থনে বেশ কয়েকটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে। 

এর আগে, রবিবার সংসদীয় আসন ও সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি এক সংবাদ সম্মেলনে এ হরতাল সহ ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচির মধ্যে গত রোববার জেলার সকল অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজারে লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং আজ সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়। 

 মঙ্গলবার সকল উপজেলা বিভিন্ন বাজারে ও প্রধান প্রধান সড়কে  বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে বুধ ও বৃহস্পতিবার আবারও সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। 

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বর্তমান জেলা বিএনপির সদস্য খান মনিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন জনমানুষের দাবি উপেক্ষা করে এই আসন বিন্যাস করেছে। এ কারণে কচুয়ার সবশ্রেণীর মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলন কোন দল বা গোষ্ঠীর নয়। আপনারা জানেন আমরা সকল শ্রেণীর মানুষ সম্মিলিতভাবে এই আন্দোলন শুরু করেছি। জনগণ আজ ভোগাক্রান্তিতে আছে, আমরা চাইনা জনগণ ভোগান্তিতে থাকুক। দ্রুত আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে পূর্বের অবস্থায় আমাদের আসন ফিরিয়ে দেওয়া হোক। অন্যথায় আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো। 

কচুয়া উপজেলা জামায়েতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে। আমরা সাধারণ মানুষের ভোগাক্রান্তি চাই না। আশা করি আমাদের যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্মতা জানিয়ে পূর্বের মতো আমাদের চারটি আসন ফিরিয়ে দিবেন। অন্যথায় আগামীকাল বিক্ষোভ শেষে পরপর দুদিন হরতাল কর্মসূচি পালন করব। এরপরেও যদি আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নেওয়া হয় আগামী রবিবার থেকে প্রয়োজনে আমরা লাগাতার হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেবো। 

কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন,নির্বাচন কমিশন পরিকল্পিতভাবেই এই কাজটি করেছেন। যারা আমাদের আসন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তাদের শুভ বুদ্ধি উদয় হোক। দ্রুত আমাদের ৪ টি আসন বহাল রেখে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক। 

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্না বলেন, আমরা যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি এটি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আজ দেশ একটা উন্নয়নের দিকে যাচ্ছিল, হঠাৎ করে কেন এই কাজটি করা হলো আমরা তো জানি না। যতক্ষণ পর্যন্ত এর ফয়সালা না দেবেন ততক্ষণ আমরা রাস্তা ছেড়ে যাব না। 

এছাড়াও সাধারন পথচারী এবং স্থানীয় কচুয়ার বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা সবাই এই যৌক্তিক দাবির পক্ষে। অনেকেই এটিকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মনে করেন। তবে কেউ কেউ এই দাবিটি সমর্থন করলেও হরতালের কারণে তাদের ভোগাক্রান্তি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। হরতালের বিকল্প কি করা যায় সে বিষয়ে ভাবার প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন। 


হরতাল চলাকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

পানছড়িতে সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফ (মূল) এর মধ্যে গুলিবিনিময়, অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার।