বুধবার দ্য স্কট জেনিংস রেডিও শোতে দেওয়া এক টেলিফোন
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ভারতকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে শুল্কযুক্ত দেশ’ হিসেবে আখ্যা
দিয়ে বলেন, তার শুল্ক কৌশল নয়াদিল্লিকে ছাড় দিতে বাধ্য করেছে।
ট্রাম্প
বলেন, “চীন আমাদের শুল্ক দিয়ে মারছে, ভারত আমাদের শুল্ক দিয়ে মারছে এবং
ব্রাজিলও আমাদের শুল্ক দিয়ে মারে। আমি তাদের চেয়ে শুল্ক ভালভাবে বুঝতে
পেরেছি, আমি বিশ্বের যেকোনো মানুষের চেয়ে শুল্ক বেশি বুঝি।”
তিনি
দাবি করেন, ভারতের পক্ষ থেকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিনা শুল্কে’
চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, “ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি
শুল্কযুক্ত দেশ ছিল। তারা আমাকে মার্কিন পণ্যে ধার্যকৃত শুল্ক শূন্যে
নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু যদি তাদের ওপর উচ্চ শুল্ক না চাপাতাম,
তারা কখনই এই প্রস্তাব দিত না। তাই শুল্ক বহাল থাকাই উচিত।”
এর আগে
সোমবার ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে
লিখেছিলেন, “তারা (ভারত) সম্প্রতি মার্কিন পণ্যে ধার্যকৃত শুল্ক শূন্যে
নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। এই প্রস্তাব বহু
বছর আগে দেওয়া উচিত ছিল।”
ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য
সম্পর্ককে ‘একতরফা’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, “তারা আমাদের কাছে প্রচুর
পণ্য বিক্রি করে, আমরা তাদের বড় ক্রেতা। কিন্তু তারা আমাদের পণ্য কিনে না।
এ সম্পর্ক বহু দশক ধরে একতরফাভাবে চলছে। কারণ ভারত এত বেশি শুল্ক আরোপ
করেছে যে মার্কিন কোম্পানিগুলো সেখানে পণ্য বিক্রি করতে পারছে না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভারত তার বেশিরভাগ তেল এবং সামরিক সরঞ্জাম রাশিয়া থেকে কিনে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে খুব সামান্যই নেয়।
প্রসঙ্গত,
রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৫০
শতাংশ শুল্কের চাপে ভারতের অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। এতে ওয়াশিংটন ও
নয়াদিল্লির মধ্যে টানাপোড়েন বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরপরই ফের ভারতকে
নিয়ে সরব হলেন ট্রাম্প।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস