হুমায়ন কবির মিরাজ, বেনাপোল:
যশোর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন আহাম্মেদের নেতৃত্বে একটি টিম সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে হঠাৎ বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অভিযান চালায়। অভিযানে রাজস্ব শাখা, মূল্যায়ন শাখা ও প্রশাসনিক দপ্তরসহ বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়।
এ সময় রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও তার সহযোগী স্থানীয় একটি এনজিও কর্মী হাসিব উদ্দিনকে ঘুষের ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। তবে পরে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে শামীমা আক্তারকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দুদক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা দুদকের গাড়ি প্রায় আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে। এর আগে বিকাল ৩টার দিকে দুদক কর্মকর্তারা কাস্টমস কর্মকর্তা ও তার সহযোগী এনজিও সদস্যকে ঘুষের টাকা সহ আটক করেন।
এরপর টানা ৫ ঘণ্টা বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারের কক্ষে গোপন বৈঠক করেন দুদক কর্মকর্তারা। বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের বারবার ব্রিফিং দেওয়ার আশ্বাস দিলেও অবশেষে রাত ৮টার দিকে কোনো তথ্য না দিয়ে কৌশলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে দুদক কর্মকর্তারা জানান, কাস্টমস কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও এনজিও সদস্য হাসিব উদ্দিনকে ঘুষের টাকাসহ আটক করা হয়েছে।
দুদক কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার স্বীকার করেছেন—তিনি এনজিও সদস্যের কাছ থেকে পাওয়া ঘুষের টাকা গ্রহণের জন্যই ওই টাকা এনেছিলেন। তবে অপরাধ স্বীকার করার পরও শামীমা আক্তারকে ছেড়ে দেওয়া হয়, আর এনজিও সদস্য হাসিব উদ্দিনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।