আমিনুল হক, নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্রে নৌকাডুবিতে একজন শিশুসহ চারজন রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় বিজিবির একজন সদস্যসহ বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজ হওয়া বিজিবি সদস্য শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়িতে সিপাহী পদে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার(২২মার্চ) রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কক্সবাজার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম উপকূল এলাকা থেকে ভেসে আসা রোহিঙ্গাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজন শিশু এবং তিনজন নারী।
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা কক্সবাজার টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া এলাকায় সাগরে ভাসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মালিকানাধীন মাছ ধরার একটি নৌকায় শাকের মাঝির নেতৃত্বে মাঝিমাল্লারা রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাটি থামানোর সংকেত দেন সমুদ্রে। পরে ওই নৌকাতে ওঠেন বিজিবি সদস্য।উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে এই সময় নৌকাটি ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে নারী-শিশুসহ ২৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলে ও বিজিবি সদস্যরা। পরে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যসহ বাকি রোহিঙ্গাদের সন্ধানে সাগরে তল্লাশি চালানো হয়। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে অর্ধশতাধিক লোকজন ছিল বলে জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা।
এ তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনায় চার রোহিঙ্গার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিজিবির সদস্যসহ আরও বেশ কিছু রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানান, ‘সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা ডুবে যায়। নৌকার তলা ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, ‘ঘটনার খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার অভিযানে যান এবং শিশুসহ ২৫ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। উদ্ধার অভিযানে যাওয়া সদস্যদের থেকে একজন বিজিবি সদস্য সমুদ্রে নিখোঁজ হন।’