নিউজ ডেস্ক :
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বোমা হামলা করার হুমকি দেওয়ার পর হতেই মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও কুয়েত—উপসাগরীয় চার দেশ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তারা ইরানে হামলার জন্য মার্কিন যুদ্ধবিমানকে তাদের আকাশসীমা ও ঘাঁটি ব্যবহার করতে দেবে না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলাতে অংশ হতে চায় না।
ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানকে চাপ বাড়াতে ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু উপসাগরীয় দেশগুলোর কঠোর অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় এই অভিযান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, আরব দেশগুলো সমর্থন না দিলে ইরানের সঙ্গে সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্র দুর্বল অবস্থানে পড়তে পারে। এর আগে, মার্কিন গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা মার্চ মাসে ওয়াশিংটনের ডিসিতে সৌদি ও আমিরাতি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এরপরই ইয়েমেনে হুথিদের ওপর হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
এসব উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা জ্বালানি সরবরাহ ও উদ্ধার অভিযানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যাতে মার্কিন বিমান অভিযানের সক্ষমতায় বড় বাধা তৈরি করতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান ও সামরিক সরঞ্জাম মজুত বাড়িয়েছে।
ওপেন-সোর্স বিশ্লেষকদের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, বর্তমানে এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক পণ্যবাহী বিমানের সংখ্যা আগের তুলনায় ৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে সামরিক হামলা ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন।
উপসাগরীয় এই দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরের ডিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটিতে বি-২ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে।
আর এরই মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সম্ভাব্য হামলার জন্য বিকল্প সামরিক কৌশল গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে পারে তা এখনও অনিশ্চিত।