বর্ষার মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীর কাঁচাবাজারে বেড়েছে অস্থিরতা। টানা বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে হঠাৎ করে। বাজারে ৬০ থেকে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। একই অবস্থা মাছের বাজারেও, যেখানে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির সরবরাহ কম এবং মাছের বাজারেও দেখা গেছে চাহিদার তুলনায় ঘাটতি। ফলে নদ-নদীর মাছ কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে কমপক্ষে ৬০০ টাকা কেজি। চাষের তেলাপিয়া বা নলা মাছ ছাড়া ৩০০ টাকার নিচে কিছুই মিলছে না। এক কেজি ইলিশ কিনতে খরচ পড়ছে ২,০০০ থেকে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত।
মুরগি ও হাঁসের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি:
প্রতিকেজি দেশি মুরগির দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩১০ টাকা এবং লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। জাতভেদে হাঁসের দামও ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দামে বড় কোনো পরিবর্তন না থাকলেও তা এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০–৮০০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১,২০০ টাকায়।
সবজিতে আগুন:
ফসলের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সবজির সরবরাহ হঠাৎ কমে গেছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম ৫০ টাকা কমলেও এখনো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। বেগুনের দাম মানভেদে ৯০ থেকে ১২০ টাকা।
চালেও স্বস্তি নেই:
চালের বাজারে নতুন করে দাম না বাড়লেও আগের উচ্চমূল্যই রয়ে গেছে। মাঝারি মানের চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় এবং মিনিকেটের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, "জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে সবজি ও মাছের দামের কারণে এখন প্রোটিন ও পুষ্টিকর খাবার সাধারণ মানুষের হাতের বাইরে।"