নিজস্ব সংবাদদাতা কচুয়া (বাগেরহাট)
বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১ টি কমিয়ে ৩ টি সংসদীয় আসন করে নির্বাচনী সীমানার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে এবং ৪ টি আসন পূর্নবহাল রাখার দাবিতে কচুয়ায় চলছে ৪৮ ঘন্টা ডাকা হরতালের প্রথম দিন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামীদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে এ হরতাল কর্মসূচি।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা পাঁচ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন উপজেলার মত কচুয়া উপজেলায়ও পালিত হচ্ছে ৪৮ ঘন্টা হরতাল কর্মসূচি। কচুয়ার সকল সড়ক গুলোতে বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের দূরপাল্লার ও স্থানীয় যান চলাচল। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর দূরান্তের যাত্রীরা। এদিন বাজারে ঔষধের দোকান,কিছু হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট ও কিছু পচনশীল দ্রব্যের দোকান ব্যতীত সকল দোকানপাট বন্ধ ছিল। সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহ -সভাপতি ও বর্তমান জেলা বিএনপির সদস্য খান মনিরুল ইসলাম ও কচুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা সর্ব দলীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সরদার জাহিদ বাঁধাল মহাসড়কে নেতা কর্মীদের নিয়ে অবস্থান নেন। উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্না তার নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে হরতাল কর্মসূচির সাথে যোগদেন। এদিকে বাধাল বাজার,কচুয়া বাজার ও সাইনবোর্ড জিরো পয়েন্ট চত্বরে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম কচুয়া উপজেলা শাখার আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম হরতালে সমর্থনে অবস্থান নেন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কচুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ নুরুল ইসলামকে তার নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে হরতালের সমর্থনে মাঠে থাকতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদরা মাঠে টহল দিচ্ছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা সতর্ক অবস্থানে আছে।##