ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আজও সড়কে চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস, যাত্রীদের দুর্ভোগ

রাজধানীতে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও শতভাগ যাত্রীসেবা নিশ্চিতে টিকিট কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালু করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু সরকারের এ সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা। ফলে গতকাল সোমবারের (১০ ফেব্রুয়ারি) মতো আজও অধিকাংশ গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে । এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসের দেখা মিলছে না। আর কোথাও কোথাও বাসের দেখা মিললেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
  • আপলোড তারিখঃ 11-02-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 15620 জন
আজও সড়কে  চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস, যাত্রীদের দুর্ভোগ ছবির ক্যাপশন: ছবি :সংগৃহীত
ad728

আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর সায়েদাবাদ, মুগদা, বাসাবো, খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায় সড়কের পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন বহু মানুষ। দুই একটা বাসের দেখা মিললেও তাতে উঠার মতো পরিস্থিতি নেই। অনেকেই বাসের দেখা না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন। আর যাদের সামর্থ্য আছে তারা রিকশা, সিএনজি বা রাইড শেয়ারের মাধ্যমে গন্তব্যে ছুটছেন।

তবে বাসের জন্য অপেক্ষারত অনেকেই জানেন না যে, আজ সড়কে বাস চলাচল করছে না। ফলে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করে পড়েছেন ভোগান্তিতে। রাজধানীর ধোলাইপাড়ে রাইদা বাসের জন্য অপেক্ষারত এক যাত্রী জানেন না যে বাস চলাচল করছে না। তিনি গণ মাধ্যম কর্মীকে বলেন, ‘এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি, কিন্তু কোনো বাস নেই। মনে হচ্ছে কোনো সমস্যা হয়েছে। কীভাবে এয়ারপোর্ট যাব বুঝতেছি না।’

এই যাত্রীকে বাস না চলার কারণ জানানো হলে হতাশা প্রকাশ করেন । আরেক যাত্রী বলেন, ‘গুলিস্তান যামু, অনেকক্ষণ ধইরা দাঁড়াই আছি, যাও দু-একটা ভিক্টর ও আকাশ বাস আসতেছে উঠাই যাচ্ছে না।’

ভিক্টর বাসের চালক আবুল হাসেম বলেন, গোলাপি রং করতে গিয়ে অনেক বাসই নামেনি রাস্তায়। আর ই-টিকিটিংয়ে চালক-হেলপারের ক্ষতি হচ্ছে বলে অনেকে বাস চালাচ্ছেন না।এর আগে গতকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সায়েদাবাদে বাস চালক-শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন আগের মতোই যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলার দাবিতে। এতে জনপথ থেকে সায়েদাবাদ টার্মিনাল পর্যন্ত সড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

কিন্তু চালক, শ্রমিকরা আগের মতো যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার সুযোগ চান। তাদের ভাষ্য, এ সুযোগ না থাকায় আয় কমে গেছে। কাউন্টার মেনে চললে বেতন বাড়াতে হবে। এ দাবিতে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শ্রমিকরা সায়েদাবাদ এলাকায় জড়ো হন।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, যানজট নিরসন ও পরিবহন খাতে নৈরাজ্য রোধে যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার সুযোগ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। নিয়ম মেনেই চলতে হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তিনটি রুটের বাসে ই-টিকিটিং ও কাউন্টার পদ্ধতি চালু করা হয়। এ পদ্ধতিতে গোলাপি রঙের বাস কাউন্টার থেকে শুধু টিকিটধারী যাত্রীকে তুলবে। সড়ক পরিবহন আইনেও যত্রতত্র যাত্রী তোলা নিষিদ্ধ। এ নিয়ম ভঙ্গের সাজা হিসেবে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ছয় মাসে কারাদণ্ড রয়েছে।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা ২১টি কোম্পানির বাস একক কোম্পানির অধীন পরিচালনা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। এর আওতায় প্রায় ২ হাজার ৬১০টি বাস চলাচল করবে। বাসগুলোর রং হবে গোলাপি।

সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব বাস চলবে কাউন্টার–পদ্ধতিতে। যাত্রীদের নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে বাসে যাতায়াত করতে হবে। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া বাস দাঁড় করানো হবে না। যাত্রী ওঠানামাও করবে নির্দিষ্ট স্থানে।  ঢাকার বিভিন্ন অংশে বাসে ওঠানামার জন্য থাকবে প্রায় ১০০টি স্টপেজ। তবে এখনো সব স্টপেজে কাউন্টার বসানোর কাজ এখনো শেষ হয়নি।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ নিউজ ডেস্ক

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

গফরগাঁওয়ে খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল