নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিকলে বাঁধা একটি কার্টুন ছাপানোর কারণে দেশটির ‘ভিকাতান’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ডিএমকে’র মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমটি মোদিকে অপমান করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির বিজেপি।ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষ থেকে আপত্তির কারণেই ওয়েবসাইটটি ব্লক করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের অভিযোগ তুলছেন অন্যান্য বিরোধী দলগুলো।

দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ভারতীয় অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাতে হাতকড়া, পায়ে বেড়ি পরিয়ে ফেরত পাঠানোকে কেন্দ্র করে নিন্দা জানানোর পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে মোদি যেভাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন,তাকে  নিয়েই সম্প্রতি একটি কার্টুন ছাপে ‘ভিকাতান’ নামে দেশটির তামিল একটি গণমাধ্যম। যাতে ট্রাম্পের সামনে শিকলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মোদি বসা অবস্থায় ছাপা হয়েছিল ব্যঙ্গচিত্রটি।কার্টুনটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেও সময় লাগেনি।

বিজেপি’র সভাপতি কে আন্নামালাই জানান, প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারপারসনের সঙ্গে তারা  দেখা করে অভিযোগ জানিয়েছেন।এমনকি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগানের কাছেও ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানান।  এরপর থেকেই ভিকাতান-এর ওয়েবসাইটটি খোলা যাচ্ছে না বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ প্রকাশে এসেছে। 

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কী কারণে ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হলো, নির্দিষ্ট কারণ জানার চেষ্টা করছি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলেও জানান।‘ভিকাতান’ নামে তামিল গণমাধ্যমটির বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নীতিতেই কাজ করে এসেছি আমরা। আমরা সব সময় বাকস্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।

এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ওয়েবসাইটটি অচল করে দেয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ১০০ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছে ওরা। মত প্রকাশের জন্য সংবাদমাধ্যমকে ব্লক করে দেয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। বিজেপির ফ্যাসিবাসী আচরণের পরিচয় এটা। অবিলম্বে ওয়েবসাইটটি চালু করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝির জানান, সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করা, গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরা এক জিনিস। শতবর্ষের ভিকাতান-এর ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি। অবিলম্বে ওয়েবসাইটটি পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তবে, ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম।