ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে আহত দুই পুলিশ

চট্টগ্রামে ডবলমুরিং থানার বারিক বিল্ডিং এলাকায় ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন দুই পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর বেলায় বারিকবিল্ডিং মোড়ে ইটের দেওয়ালে ঘেরা পরিত্যক্ত জায়গায় একটি টিনশেড ঘরে ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযানে যায় পুলিশ। ছিনতাইকারীরা তাদেরকে ছুরিকাঘাত করার পরপরই ঘটনাটি জানাজানি হয়।
  • আপলোড তারিখঃ 25-02-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 9156 জন
চট্টগ্রামে ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে আহত দুই পুলিশ ছবির ক্যাপশন: চট্রগ্রামে ছিনতাইকারী পুলিশের মহড়া
ad728


নিজস্ব প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামে ডবলমুরিং থানার বারিক বিল্ডিং এলাকায় ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন দুই পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর বেলায় বারিকবিল্ডিং মোড়ে ইটের দেওয়ালে ঘেরা পরিত্যক্ত জায়গায় একটি টিনশেড ঘরে ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযানে যায় পুলিশ। ছিনতাইকারীরা তাদেরকে ছুরিকাঘাত করার পরপরই ঘটনাটি জানাজানি হয়।

ছুরিকাঘাতে আহত দুইজন পুলিশ সদস্য হলেন—ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক জামিল এবং নজরুল। সেখান হতে ছিনতাইকারী চক্রের তারেক ও জুয়েল নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে,বারিকবিল্ডিংয়ে পেশাদার ছিনতাইকারীদের আস্তানা রয়েছে এমন গোপন খবরে ঘটনাস্থলে যান ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক জামিল এবং নজরুল। সেখানে তারা স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়ে এবং ছিনতাই চক্রের অবস্থান শনাক্ত করেন। এরপরেই তারা চক্রটিকে ধরতে অভিযান চালালেই উল্লেখিত দুই পুলিশ সদস্যকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। এরপর ঘটনাস্থলে আরো পুলিশ গিয়ে দুইজনকে আটক করে এবং আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল টাকা-পয়সা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। তাছাড়াও ছিল ছিনতাই-ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম।

পরিত্যক্ত ঐ জায়গার নিরাপত্তা প্রহরী শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ওনারা (ছিনতাই চক্রের সদস্য) ছুরি, কিরিচ, ধামা নিয়ে ভয় দেখিয়ে ঢুকে যেতো।বাধা দিলে খুন করার হুমকি দিতো। আমরা থানাকেও জানিয়েছিলাম। কখন থেকে তারা এখানে আছে তা জানি না। আমি কাজ করি মাসখানেক। তাদেরকে আমি সবসময় দেখি। তারা এখানে গাঁজা-মদ খেতো।’ 

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে চট্টগ্রাম পুলিশের পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভুইয়া সাংবাদিকদের জানান, ‘মনির, মেহেদী, তারেক, জুয়েল, রাজু, ভান্ডারি এবং রবি এখানে বসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যেসব সরঞ্জাম নিয়ে তারা ডাকাতি করে সেগুলো তারা প্রস্তুত করছিল। তারা মূলত ছিনতাই-চুরিই করে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত টাকাগুলো তারা এখানে ভাগ-বাটোয়ারা করছিল। আমাদের ডবলমুরিং থানার টিম এখানে এসে দুইজনকে আটক করে। বাকি অন্যান্যরা আমাদের দুজন পুলিশ সদস্যকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।’ 


আটককৃত তারেক এবং জুয়েলের মধ্যে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে মারামারি হয়েছে। তারা একে অপরকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছ। এর ফলে তারেক মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

গফরগাঁওয়ে খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল