শবে বারাতের রজনী
-আমিনুল হক নজরুল
এসেছে শবে বারাত;
ভাগ্য বন্টনের মহিমান্বিত রজনী।
এই রাতে মনপোড়া কত মানুষ পোড়া কলিজাকে- আকাশ পানে ধরে ফেলছে চোখের পানি।
ভালোবাসা যেন উড়ন্ত পাখি,
যাকে কান্নার জল ও রক্তাক্ত হৃদয়ের আর্তনাদে
বেঁধে রাখার আকুতি চলে অনেকেরই এই রাতে।
রাতভর একটাই আকুতি চলে বিশেষ একজনকে নিজের ভাগ্যে পাবার জন্য।
মসজিদে মসজিদে কিংবা ঘরে বসে জায়নামাজে
চোখের জলে বুক ভেসে যাচ্ছে অনেকেরই।
সবার চোখেই জল গড়াচ্ছে, চোখেমুখে আকুতি দেখা যাচ্ছে,তবে পাশের লোকটিও জানেনা অস্পষ্ট আকুতিতে কে কি ভিক্ষা প্রার্থনা করছে।
শুধু মাঝে মাঝে থেমে থেমে কান্নার ফাঁকে-
একটি মধুনাম প্রকাশ পাচ্ছে,
আল্লাহ` `আল্লাহ` ও আল্লাহ!'
এই একটা নামই মিনতির স্বরে প্রতিটা বঞ্চিত,লাঞ্চিত,পিপাসিত,বিষাদিত ও
গোনাহে নিষ্পেষিত আত্মার ভরসা।
আজ এটাই প্রমাণীত সিজদার কোনো বিকল্প নাই।
শবে বারাত যেন এক মহাস্রোত,
এই মহিমান্বিত রাতের জঠর হতে প্রসব হবে-
ক্ষমা,দয়া,ন্যায়বিচার ও প্রতিটা সৃষ্টির ভাগ্য।
সৃষ্টি তাই প্রার্থনার মহাস্রোতে স্রষ্টার কাচারিতে-
এই শবে বারাতের রজনীতে।