রফিকুল ইসলাম খান, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্বামীর ছুরিকাঘাতে মার্জিয়া আক্তার (২৯) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার যশরা ইউনিয়নের কুর্শাপুর গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুর্শাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নাজমুল আলম (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন এবং তার চিকিৎসা চলছিল। ঘটনাদিন রাতে তিনি স্ত্রী মার্জিয়া আক্তারের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে রাতের কোনো এক সময় ছুরি দিয়ে স্ত্রী মার্জিয়ার পেটে আঘাত করেন। চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘরে ঢুকে দেখতে পায় মার্জিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন। পাশেই নাজমুল চুপচাপ বসে আছেন। পরিবারের লোকজন মার্জিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মার্জিয়ার এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।
নিহতের ভাই আশরাফুল আলম বলেন, আমার ভগ্নীপতি নাজমুল মানসিকভাবে অসুস্থ। কিন্তু সে যে এমন ভয়ানক কিছু করতে পারে তা আমরা কেউ ভাবতে পারিনি।
নাজমুল আলমের মা মতিজা বেগম বলেন, ছেলে নাজমুল ও পুত্রবধূ মার্জিয়া রাতে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিল। হঠাৎ চিৎকার শুনে দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখি মার্জিয়া আহত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে আর নাজমুল পাশে বসে আছে।
গফরগাঁও থানার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। অভিযুক্ত নাজমুল আলম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।