নিউজ ডেস্ক :

ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে টানাপোড়েন আরও তীব্র হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো আলোচনার প্রস্তাবকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

শনিবার (৮ মার্চ) তেহরানের এক ভাষণে খামেনি অভিযোগ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু পরমাণু ইস্যুতেই নয়, বরং ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও শর্ত চাপিয়ে দিতে চায়।

গত শুক্রবার(৭মার্চ) ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন।

ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি বলেছি, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন, কারণ এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।’ একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায়, তেহরানের কল্যাণে সমঝোতাই যুক্তিসঙ্গত হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

ট্রাম্পের ওই চিঠিতে তেহরানের দ্রুত অগ্রসরমাণ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের নতুন চুক্তির বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে শনিবার(৮মার্চ) তেহরান জানিয়েছে, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য কোনো চিঠি পায়নি।

এরপরও এই ইস্যুতে খামেনি ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অভিযোগ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান নয়, তারা এই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু দাদাগিরি করা দেশ আলোচনা চায়, কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা তাদের লক্ষ্য নয়, বরং তাদের উদ্দেশ্য মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার।

খামেনি আরও জানান, আলোচনার আহ্বান তাদের নতুন একটি কৌশল মাত্র, তারা পারমাণবিক বিষয়ে আলোচনা করতে চায় না, তারা এর মাধ্যমে তাদের আকাঙ্খা চাপিয়ে দিতে চায়, যা ইরান কখনোই মেনে নেবে না।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসলে তা ইরানের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তেহরানের বিরুদ্ধে আবারো ট্রাম্প সর্বোচ্চ চাপ কৌশল চালু করেছেন। শুক্রবারে ইরানের প্রধান রফতানি খাত,তেলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, এসব নিষেধাজ্ঞার একটাই লক্ষ্য তেহরানকে অর্থনৈতিকভাবে আরও চাপে ফেলা।