বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ঘোষণা করেছে যে, পাঁচ দিনব্যাপী একটি টিকাদান কর্মসূচির আওতায় ৬ লাখ ২ হাজার ৭৯৫ শিশুকে গাজায় পোলিওর বিরুদ্ধে টিকা দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বৃহস্পতিবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, যুদ্ধবিরতির ফলে স্বাস্থ্যকর্মীরা আগের বছরের তুলনায় আরও বেশি সংখ্যক শিশুর কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, পোলিও নির্মূলের জন্য প্রতিটি শিশুর সম্পূর্ণ টিকাদান নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি, তাদের নিরাপদ পানি, পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তবে গাজার শিশুদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা হলো "চিরস্থায়ী শান্তি"।
২০২৪ সালের আগস্টে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছিল যে, ১০ মাস বয়সী এক শিশুর দেহে পোলিও শনাক্ত হয়েছে। এরপর সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি গণহত্যার মাঝেই গাজায় দুই ধাপে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
প্রথম ধাপে, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ লাখ ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়া হয়। পরবর্তী ধাপে, ৭ নভেম্বর শেষ হওয়া কর্মসূচিতে গাজা উপত্যকার ১০ বছরের কম বয়সী ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৭৪ শিশুকে টিকা দেওয়া হয়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার শিশুদের জন্য পোলিওর দুই ডোজ টিকা প্রয়োজন, যা মুখের মাধ্যমে দুই ফোঁটা আকারে দেওয়া হয়।
গত ১৬ মাস ধরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজায় মারাত্মক স্বাস্থ্য সংকট দেখা দিয়েছে। নিরাপদ পানি ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার অভাবে শিশুরা সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে পড়েছে।
১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ডব্লিউএইচও ও অন্যান্য সংস্থাগুলো টিকাদান কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যদি অবরোধ ও মানবিক সংকট চলতে থাকে, তাহলে গাজায় পোলিওসহ অন্যান্য মহামারি আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।