ঢাকা | বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুরে জাটকা রক্ষায় নৌ-পুলিশের জিরো টলারেন্স

জাটকা ইলিশ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে নৌ-পুলিশ। তারা জিরো টলারেন্স নীতিতে নদীতে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা টহলের পাশাপাশি চালানো হচ্ছে প্রচারণা। কারণ, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষা পেলে সহজলভ্য হবে এবং স্বল্পমূল্যে ক্রয় করা যাবে।
  • আপলোড তারিখঃ 22-04-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 89634 জন
শরীয়তপুরে জাটকা রক্ষায় নৌ-পুলিশের জিরো টলারেন্স ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত
ad728


শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

জাটকা ইলিশ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে নৌ-পুলিশ। তারা জিরো টলারেন্স নীতিতে নদীতে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা টহলের পাশাপাশি চালানো হচ্ছে প্রচারণা। কারণ, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষা পেলে সহজলভ্য হবে এবং স্বল্পমূল্যে ক্রয় করা যাবে।


সরেজমিন গিয়ে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে

জানাগেছে, এ বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল এই দুই মাস সারাদেশের ন্যায় সরকারঘোষিত ইলিশ মাছের অভায়শ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এর একটি হচ্ছে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া-ভেদরগঞ্জ উপজেলা অংশে ২০ কিলোমিটার এলাকা। এবার জাটকা নিধন বন্ধে অনান্য বছরের চেয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নৌ-পুলিশ। 


নরসিংহপুর নৌ ফাঁড়ি ও সুরেশ্বর নৌ ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে, জাটকা নিধন বন্ধে শরীয়তপুরের তিনটি নৌ-ফাঁড়ির মধ্যে নরসিংহপুর নৌ ফাঁড়ি ও সুরেশ্বর নৌ ফাঁড়ি অনান্য বারের চেয়ে বেশি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নরসিংহপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. ইয়াছিনুল হকের নেতৃত্বে ১ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ২৮ টি মামলা ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে এবং 

সুরেশ্বর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে ৯ টি মামলা ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় কারেন্ট জাল ও জাটকা জব্দ করা হয়েছে। আইন অমান্যকারী যেই হোক কোনো ছাড় দেয়া হচ্ছে না। তবে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নানাভাবে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে জাটকা ধরার জন্য চেষ্টা করে সফল হতে পারে নি৷ নৌ-পুলিশ স্থানীয় প্রশাসন ও কোস্ট গার্ডের সহযোগিতা নিয়ে সদা তৎপর রয়েছে। 


এ ব্যাপারে স্থানীয় অনেকেই বলেন, এ অনান্য বারের চেয়ে নৌ-পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমরা নদীর মানুষ। কঠোর ভূমিকার কারণে আগামী আমরা স্বল্পমূল্যে ইলিশ খেতে পারবো।


নরসিংহপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, আমরা কোনও জেলেদের গ্রেপ্তার বা তাদের জাল-নৌকা জব্দ করতে চাই না। তবে কেউ জাটকরা নিধনের চেষ্টা করলে আমরা দেশের স্বার্থে, জেলেদের স্বার্থে নদীর সম্পদ বৃদ্ধি করতে সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকর করার উদ্যোগ নিচ্ছি। জাটকা ইলিশ না ধরলে এসব ইলিশ বড় হয়ে ডিম পাড়বে এবং বেশি ওজনের ইলিশ ধরতে পারলে জেলেদেরই উপকার হবে।


সুরেশ্বর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আব্দুল জব্বার বলেন, আমরা দেশের সম্পদ রক্ষায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। এতে সকলে আমাদের সহযোগিতা করছেন। তবে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নানাভাবে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে জাটকা ধরার জন্য চেষ্টা করে সফল হতে না পেরে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেও সফল হতে পারে নি৷ আমরা দেশের সম্পদ রক্ষায় আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাবো।


এ ব্যাপারে নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিক রহমান বলেন, আমরা জাটকা নিধন বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। আজকের জাটকাই আগামী কিছু দিন পর ইলিশ হবে। জাতীয় স্বার্থে আমরা কাজ করছি। আর এক সপ্তাহ পরেই আবার জেলেরা নদী মাছ ধরতে পারবে।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

গফরগাঁওয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে বিএনপির বিজয় মিছিল ও সমাবেশ