ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পরাজিত শক্তির ইন্ধনে দায়িত্ব পালনে অসম্ভব করে তুললে জনগণকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন- এমন গুঞ্জন ঘিরে নানা মহলে নানান জল্পনা-কল্পনার ডালপালা মেলেছে গত দুদিন ধরে। এরইমধ্যে আজ শনিবার (২৪ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন না।
  • আপলোড তারিখঃ 24-05-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 62140 জন
পরাজিত শক্তির ইন্ধনে দায়িত্ব পালনে অসম্ভব করে তুললে জনগণকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত
ad728

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন- এমন গুঞ্জন ঘিরে নানা মহলে নানান জল্পনা-কল্পনার ডালপালা মেলেছে গত দুদিন ধরে। এরইমধ্যে আজ শনিবার (২৪ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন না।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।


আজ দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত ৩টি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। 

এতে বলা হয়, এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এ দেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ।এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।

বিবৃতিতে  বলা হয়েছে, শত বাধার মধ্যেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
notebook

অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির বিজয় র‌্যালী অনুষ্ঠিত