ঢাকা | বঙ্গাব্দ

তোকেও মারবো, আমিও মরবো বলেই স্ত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মারা গেছে মনে করে নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে পারভেজ মিয়া (২৬) নামের এক ব্যক্তি। স্ত্রী লাকী আক্তার (২০) এর অবস্থা আশংকাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
  • আপলোড তারিখঃ 10-07-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 21974 জন
তোকেও মারবো, আমিও মরবো বলেই স্ত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত
ad728


অধ্যাপক শেখ কামাল উদ্দিন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মারা গেছে মনে করে নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে পারভেজ মিয়া (২৬) নামের এক ব্যক্তি। স্ত্রী লাকী আক্তার (২০) এর অবস্থা আশংকাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। 


নিহত পারভেজ মিয়া (২৬) কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের মইনপুর গ্রামের- বাবুল মিয়ার ছেলে এবং স্ত্রী লাকী আক্তার (২০) কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউপির খাড়েরা গ্রামের মৃত নিজাম মিয়ার মেয়ে। তাদের পৈত্রিক বাড়ি ময়মনসিংহ হলেও দীর্ঘদিন ধরে খাড়েরা গ্রামে বসবাস করেন।


নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বছর দুয়েক আগে পারিবারিকভাবে পারভেজ মিয়া ও লাকি আক্তারের সাথে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। লাকী আক্তার স্বামীর সংসার করবে না বলে খাড়েরা গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে আসে। স্ত্রীকে নিতে পারভেজ প্রায়ই তার বাবার বাড়িতে আসলে স্ত্রী লাকী আক্তার স্বামীর বাড়িতে যায় না। তিনি খাড়েরা গ্রামের বাবার ভাড়া বাড়ির পাশেই স্থানীয় কামাল মাস্টার এর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। এক সপ্তাহ আগে পারভেজের পরিবারের অভিভাবকরা এসেও স্থানীয় সাহেব-সর্দারকে বিষয়টি অবহিত করেন। তখনই লাকি আক্তার স্বামীর বাড়িতে যাবে না বলে জানিয়ে দেয়।


মেয়ে লিমা আক্তার ও গৃহকর্মী লাকী আক্তারকে বাড়ীতে রেখে কামাল মাস্টার ও তাঁর স্ত্রী চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যান।


গত বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পারভেজ মিয়া কামাল মাস্টারের বাড়িতে গিয়ে লাকি আক্তারকে আনতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তার মাথার চুলে ধরে টানাহেচড়া ও মারধর করে। তোকেও মেরে ফেলবো আমিও মরব বলতে বলতে ছুরি দিয়ে স্ত্রীর বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকলে লাকি আক্তার মাটিতে লুটে পড়ে। তাদের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে আসে। স্ত্রী লাকি আক্তার মারা গেছে মনে করে সে নিজেই নিজের উপর কয়েকটি ছুরিকাত করে ওই ঘরের ছিলিং ফ্যানে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। রাতেই স্থানীয় লোকজন লাকি আক্তারকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


খবর পেয়ে রাতেই কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান, কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং রাতেই পুলিশ নিহত পারভেজ মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।


কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মারা গেছে মনে করে নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। স্ত্রীর অবস্থা আশংকাজনক। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হপসাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

সাপাহারে জুলাই অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ ও গণমিছিল