ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৪তম শাহাদাতবার্ষিকীতে শার্শায় জাতির শ্রদ্ধার অর্ঘ্য

মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৪তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে অবস্থিত তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কবর জিয়ারত করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
  • আপলোড তারিখঃ 05-09-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 15512 জন
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৪তম শাহাদাতবার্ষিকীতে শার্শায় জাতির শ্রদ্ধার অর্ঘ্য ছবির ক্যাপশন: উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসানের শ্রদ্ধা নিবেদন
ad728



হুমায়ন কবির মিরাজ, বেনাপোল:

মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৪তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে অবস্থিত তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কবর জিয়ারত করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা প্রশাসন।


রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।


এসময় শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ শুধু শার্শার নয়, সমগ্র জাতির গর্ব। তাঁর বীরত্ব ও আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে। তাঁর সমাধি আমাদের কাছে এক অমূল্য সম্পদ, যা মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।


১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের চৌগাছার ছুটিপুর যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের সাথে সম্মুখসমরে অকুতোভয় সাহসিকতা প্রদর্শন করে সহযোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ। গুরুতর আহত হওয়ার পরও নিজের জীবন উৎসর্গ করে তিনি হয়ে ওঠেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।


১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহেশখালী গ্রামে জন্ম নেওয়া নূর মোহাম্মদ ১৯৫৯ সালে ইপিআরে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৪নং ইপিআর উইংয়ের অধীনে তিনি যশোর অঞ্চলে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ সহযোদ্ধারা উদ্ধার করে শার্শার কাশিপুর গ্রামের ডিহি এলাকায় সমাহিত করেন।


আজও শার্শার বুকে তাঁর সমাধি বাঙালি জাতির শ্রদ্ধা, গর্ব ও অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবছর হাজারো মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে শ্রদ্ধা জানায় মহান এই মুক্তিকামী যোদ্ধাকে। সমাধিস্থলটি শুধু শার্শাবাসীর নয়, গোটা জাতির কাছে বীরত্ব ও আত্মত্যাগের এক চিরন্তন স্মারক।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

পানছড়িতে সেনাবাহিনী ও ইউপিডিএফ (মূল) এর মধ্যে গুলিবিনিময়, অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার।