ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নবীনগরে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন, ঘাতক গ্রেপ্তার

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হয়েছে। উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে শৈশবের বন্ধু উমর হাসানকে (২৩) কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে খাইরুল আমিন নামে এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ নিহতের পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার( ১৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে।
  • আপলোড তারিখঃ 17-10-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 18109 জন
নবীনগরে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন, ঘাতক গ্রেপ্তার ছবির ক্যাপশন: নিহত উমর হাসান
ad728



মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হয়েছে। উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে শৈশবের বন্ধু উমর হাসানকে (২৩) কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে খাইরুল আমিন নামে এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ নিহতের পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার( ১৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে। 


নিহত উমর হাসান মহেশপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। 


খবর পেয়ে রাতেই দ্রুত ছুটে যান নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীনুর ইসলাম। তার নেতৃত্বেই দুই ঘণ্টার মধ্যেই পৌর এলাকা থেকে অভিযুক্ত ঘাতক খাইরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে শুক্রবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনা নিহতের মা রাহেলা বেগম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের  করেন । গ্রেপ্তার হওয়া খাইরুল আমিন একই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার চাঁন মিয়ার ছেলে।


পুলিশ সূত্রে জানা যায় , উমর ও খাইরুল ছোটবেলা থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। খায়রুল বখাটে ছেলে। সেজন্য উমর তার সাথে খুব কম চলাফেরা করতো। তার ডাকে সে বিভিন্ন জায়গায় যায় না। এই নিয়ে তাদের দুজনের মাঝে সম্পর্কের  অবনতি ঘটে। এরই জেরে ধরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খাইরুল আমিন কৌশলে ঘরের সিদ কেটে উমরের ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর প্রথমে ধারালো দা দিয়ে উমরের ঘাড় ও হাতে উপর্যুপরি কোপ দেন। পরে তাঁকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।


​এ সময় নিহতের মা রাহেলা বেগম শব্দ শুনে ছেলের ঘরে গেলে খাইরুল তাঁকেও কোপ মেরে আহত করে পালিয়ে যায়।


নিহতের মা রাহেলা বেগম বলেন, আমার ছেলে খুব ভালো ছিল।তার পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল কয়েক মাসের মধ্যেই তার বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল। খায়রুলের সাথে না চলার কারণে আমার ছেলেকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে, আমি নিজের চোখে দেখেছি, আমাকে আঘাত করে সে পালিয়ে যায়।আমার ছেলের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। 



এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ  শাহিনুর ইসলাম বলেন, 'পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খাইরুল প্রথমে উমরকে কুপিয়ে এবং পরে জবাই করে হত্যা করে। খবর পাওয়ার পরপরই আমরা অভিযান শুরু করি এবং মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। সে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। তার তথ্যমতে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে।' নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে ও গ্রেপ্তার খাইরুলকে জেল হাজতে  পাঠানো হয়েছে। নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ ADMIN

কমেন্ট বক্স
notebook

আমি দলে কোন্দল দেখতে চাইনা, যদি কারও কোন্দলে দল ভোট কম পায়, তাকে ক্ষমা করা হবেনা। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. ফজলুর রহমান