সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শতাধিক রিসোর্ট ও স্থাপনা পুড়ে ছাই
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি পর্যটন কেন্দ্রের আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাজেক ভ্যালিতে আগুন লাগে। বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
সাজেক রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা বলেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে । স্থানীয়দের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেঝেন সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবি।
সাজেকে পুড়ে যাওয়া ৪১টি রিসোর্ট-কটেজ-রেস্তোরা গুলো হলো ছায়ানীড়, তরুছায়া, সাজেক ইকো রিসোর্ট, আত্রিকা, মেঘবাতায়ন, মেঘের ঘর, অধরা, মর্নিং স্টার, শালকা, রিমি ইকো কটেজ, মুননাইট, মাচাং ঘর, মেঘলা আকাশ, সানসিটা, বিকাশ বিলাস, পাহাড়পুঞ্জি, মাদল, ইকোবিহান, সাইরু, সালকা, মেঘবতী, ইকোভ্যালী, অবকাশ, মেঘছুট, টিজিবি লুসাই, নীল পাহাড়, টংঠং, মেঘজ্যোৎস্না, অধরা, মেডভেঞ্চার, শৈলকুটির, ফদাংথাং ছাউনি, শাল্কাও চাঁদের বাড়ী কটেজ। রেস্তোরা আর টি স্টলগুলো হলো চিলেকোঠা, মেঘপাই, পেদাটিংটিং, সিস্বল, মনটানা, মারুয়া ডি রেস্তোরা ও কফিডোর টি স্টল।
এছাড়া সাজেক হেডম্যানসহ স্থানীয়দের বাড়ীও পুড়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযাযী সাজেক ভ্যালিতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে ৯৪টি স্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতবাড়ি, ২০টি দোকান এবং ৭টি রেস্টুরেন্ট।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ন দেব বর্মন বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া ৩৫ বসতবাড়ি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ১৯টি। বাকিগুলো লুসাই জনগোষ্ঠীর।
স্থানীয়রা বলছেন ইকোভ্যালি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত। সম্ভবত আগামী এক বছর সাজেকে যাবার মত অবস্থা থাকবেনা!
বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, সাজেক ভ্যালির আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার আনা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে । আগুনের ঘটনায় কটেজ-রিসোর্ট, বসতঘর, দোকানপাট, রিসোর্ট কটেজসহ প্রায় ৬০টির অধিক স্থাপনা পুড়ে গেছে।