ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক আলোচনা চট্রগ্রাম প্রেসক্লাবে

  • আপলোড তারিখঃ 02-05-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 81337 জন
জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ'  শীর্ষক আলোচনা চট্রগ্রাম প্রেসক্লাবে ছবির ক্যাপশন: ছবি:- জার্নাল অব কান্ট্রি
ad728

আমিনুল হক,নিজস্ব প্রতিনিধি:

‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা শুক্রবার(২রা মে) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।সভায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলেরও আনুষ্ঠানিক নামাকরণের পর এ হল উদ্বোধন করা হয়। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় শফিকুল আলম অপতথ্য রুখে দিতে সাংবাদিকদের ফ্যাক্ট চেকিংসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণের পরামর্শ দেন।

শফিকুল আলম জানান, তিনজন সাংবাদিকের চাকরি তো আমরা খাইনি। আপনারা সাংবাদিকেরা যারা আন্দোলন করছেন, আপনারা টিভি স্টেশনগুলোর বাইরে গিয়ে প্রোটেস্ট করেন। আমরা তে কোনো সাংবাদিকের চাকরি খাচ্ছিও না,দিচ্ছিও না। বাক্‌স্বাধীনতা হরণ করা হয়—এমন কোনো কাজ অন্তর্বর্তী সরকার করবে না।

প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে যারা সাংবাদিকতা করছেন, তাদের জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আসেনি। আমরা কারও মুখ বন্ধ করছিনা।আমরা সবাইকে বলছি, আপনারা সাংবাদিকতা করুন। অধ্যাপক ইউনূস (প্রধান উপদেষ্টা) ক্ষমতা গ্রহণের পর সব সম্পাদককে ডেকেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আপনারা মন খুলে লিখেন, আমরা ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়৷ আমার ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আপনার।

অপতথ্যের বিষয়ে সচিব বলেন, জুলাই পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের শিকার হয়েছি এই অপতথ্য নিয়ে। এর সঙ্গে দুটি ফোর্স—একটা হচ্ছে ইন্ডিয়ান মিডিয়া একটা বড় রকমের অপতথ্যের সোর্স, আরেকটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। এরা সব এক হয়েছে। তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার নিয়ে বসে আছে। তারা প্রতিদিন একটার পর একটা (ভিডিও) দিচ্ছে। আপনি যেহেতু ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে কনজিউম করছেন, আপনি বুঝতেও পারছেন না এটি সত্য না মিথ্যা।

শফিকুল আলম জানান, নিউজ কনজিউমের ধরন বদলে গেছে। ফলে প্রতিনিয়ত অপতথ্য আসছে, মিস ইনফরমেশন আসছে, ডিস ইনফরমেশন আসছে। এবং এগুলো দিয়ে সমাজকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। আগে দেখা যেত এটি ডমেস্টিক্যালি হতো। এখন দেখা যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়াও এটার সঙ্গে ভয়াবহভাবে জড়িত। প্রতিদিন তারা মিথ্যা নিউজ দিচ্ছে। অনেকে এটা বিশ্বাস করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের নামে অপতথ্য ছড়ানো।

এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।তারা তাদের বক্তব্যে সাংবাদিকতার নীতিনৈতিকতা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার৷

লিখিত এই ধারণাপত্রে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উল্লেখ করেন, আমরা সবাই জানি, অতীতে সরকারের লোকজনই ঠিক করে দিতেন টকশোগুলোতে আলোচক হিসেবে কারা আসবেন কিংবা কারা আসতে পারবেন না। এখন এ ধরনের চর্চা বন্ধ করা হয়েছে। অতীতে এমনও হয়েছে কোনো একটা বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট কোনো রিপোর্টার কাভার করবেন এটা সরকারের লোকজন ঠিক করে দিয়েছে। এখন এ ধরনের চর্চাও বন্ধ করা হয়েছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম নছরুল কদির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহিদুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগের সদস্যসচিব খুরশীদ জামিল চৌধুরী প্রমুখ।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ নিউজ ডেস্ক

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

সোনাগাজীতে পরিত্যক্ত ঘর থেকে যৌথবাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার