মাইনুল হক মেনু, স্টাফ রিপোর্টার :
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মারিয়া আক্তার স্মৃতি (২৪) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের এক বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বাদিকে হুমকি। আতঙ্কে আছেন স্মৃতির পরিবার।
শনিবার বিকালে কটিয়াদী ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত মারিয়া আক্তার স্মৃতির বাবা মানিক মিয়া ও পরিবারের লোকজন। সংবাদ সম্মেলন স্মৃতির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১নং আসামি মোস্তাক আলী মেহেদীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন শুনান নিহত স্মৃতির বাবা মানিক মিয়া। তিনি বলেন ২০২৪ সনের ১২ জুলাই তারিখে আমার মেয়ে পাশ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার স্বামীর বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতের আঁধারে স্মৃতিকে কৌশলে ঘর থেকে বের করে নিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে খুনী মেহেদী। ঘটনার এক বছর পেরিয়ে গেলেও পুলিশ হত্যাকারী মেহেদীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। খুনি মেহেদী ও পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নিতে আমাকে নানানভাবে হুমকি দিচ্ছে। আসামীদের হুমকিতে আমরা সবসময় আতঙ্কে মধ্যে থাকি।
উল্লেখ্য মারিয়া আক্তার স্মৃতি নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গত ২০২৪ সনের ১২ জুলাই রাতে কুপিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। কটিয়াদী পৌরসভার হালুয়া পাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। স্মৃতি হালুয়া পাড়া মহল্লার মানিক মিয়ার মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার বেলদী গ্রামের কাতার প্রবাসী আল আমিন ভূঁইয়ার স্ত্রী। বিয়ের পরপরই তার স্বামী বিদেশ চলে যায়। স্মৃতি তার বাবার বাড়ি হালুয়া পাড়ায় বেড়াতে আসলে রাতে পরিবারের লোকদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া শেষে তার নিজ কক্ষে শুয়ে পড়ে। রাতে কোনো একসময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। স্মৃতির বাবা মানিক মিয়া জানান, পার্শ্ববর্তী বাগরাইট গ্রামের মুজিবুর মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান তার মেয়েকে বিয়ের আগে থেকেই উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিয়ের পরও মেহেদী তার মেয়েকে উত্যক্ত করত সর্বদা ।
কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, চাঞ্চল্যকর মারিয়া আক্তার স্মৃতি হত্যা মামলাটি কিশোরগঞ্জ পিবিআই তদন্ত করছে। আসামীকে গ্রেফতার অভিযান অব্যহত রয়েছে।